এবার ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতিতে সরকারের বিরুদ্ধে পথে হাঁটলাে সিপিএম। তারা এবার বয়কট রাজনীতিতে। দীর্ঘদিন ধরেই ত্রিপুরার রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদটি খালি হয়ে পড়ে রয়েছে। নিয়মানুযায়ী কে হবেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, তার একটি নাম রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করতে হয়।
সেই নাম সুপারিশের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। তাতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং বিরােধী দলনেতা। ত্রিপুরায় যেহেতু বিপ্লব দেবের হাতেই স্বরাষ্ট্র দফতর সেহেতু তিনজনের থাকার কথা ছিল বৈঠকে শুক্রবার দুপুরে নিজের সরকারি বাসভবনে এই বৈঠক ডেকেছিলেন বিপ্লব।
Advertisement
তবে বিবৃতি দিয়ে মানিক সরকার জানিয়ে তিনি ওই বৈঠকে যাবেন না। শেষ পর্যন্ত যানওনি। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, গত কয়েক দিন ধরে রাজোর জায়গায় জায়গায় গণতন্ত্রের শ্রাদ্ধ হচ্ছে। প্রশাসন নীরব, পুলিশ দর্শক আর বিজেপির গুন্ডারা তাণ্ডব চালাচ্ছে।
Advertisement
যখন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ আক্রান্ত তখন মানবাধিকার কমিশনও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিপ্নরে ডাকা বৈঠক বয়কট করলেন মানিকবাবু। যদিও মানিক প্রকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ত্রিপুরা সরকারের এক মন্ত্রী বলেন আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল মানিক সরকাররা কোনও সাংবিধানিক ব্যবস্থাকেই মান্যতা দেন না। তাই এই প্রক্রিয়ায় তিনি নিজেকে মুক্ত করলেন না।
২০১১ থেকে বাংলার সিপিএমের মধ্যেও একটি অংশ বারবার বলত, সরকারের সঙ্গে সরাসরি অসহযােগিতার রাস্তায় হাঁটতে। কিন্তু তা না করে বিমান বসু, প্রয়াত ক্ষিতি গােস্বামীরা নবান্নে গিয়ে ফিশফ্রাই খেয়ে চলে এসেছিলেন।
এ ব্যাপারে সিপিএমের এক নেতা বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে বিরােধিতার লাইনটাই ভোতা হয়ে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উগ্র বিরােধিতার লাইনে রাজনীতি করেছিলেন বাংলায় তার ধারেকাছে যাওয়া যায়নি।
মানিক সরকার হয়তাে বাংলা দেখেই সেই ফিশফ্রাই চক্করে পড়তে চাইলেন না! ২০১৮ সালের পর থেকে ত্রিপুরা সিপিএম’ও সেই অর্থে বয়কটের রাজনীতি করেনি। কিন্তু এবার সেই পথেই হাঁটা শুরু করে দিল দশরথ দেব স্মৃতি ভবন। এখন দেখার ত্রিপুরার রাজনীতিতে সিপিএম কতটা তেজ বাড়ায় তা নিয়ে।
Advertisement



