কাতারে হানিমুনে গিয়ে মাদক পাচার করলাে দম্পতি! ১০ বছর কাটবে জেলে

একসঙ্গেই রথ দেখা ও কলা বেচার পরিকল্পনা ছিল তাদের। হানিমুনের পাশাপাশি মাদক পাচার করে কিছু উপরি রােজগার করতে চেয়েছিলেন মুম্বইয়ের এই দম্পতি।

Written by SNS Doha | April 5, 2021 5:10 pm

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

একসঙ্গেই রথ দেখা ও কলা বেচার পরিকল্পনা ছিল তাদের। হানিমুনের পাশাপাশি মাদক পাচার করে কিছু উপরি রােজগার করতে চেয়েছিলেন মুম্বইয়ের এই দম্পতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দনের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে যান তারা। কাতারে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শােনানাে হয়েছে ওই দম্পতিকে।

ঘটনাটি ২০১৯ সালের। মুম্বইয়ের বাসিন্দা আনিবা ও শারিক কুরেশি তাদের দ্বিতীয় হানিমুন সারতে উড়ে গিয়েছিলেন কাতারে। দোহা বিমানবন্দরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪.১ কেজি নিষিদ্ধ মাদক হাশিস। পুলিশের কাছে তারা জানায় ওই মাদকের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এক আত্মীয়া তাদের এই প্যাকেটটি দিয়ে এক বন্ধুর কাছে পৌছে দিতে বলেছেন। তবে তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি আদালত। ১০ বছরের জেল হয়। তাদের জেলে থাকা অবস্থাতেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন আনিবা।

২ বছর কাতারেরর জেলে কাটিয়ে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছে এই দম্পতি। খুব শীঘ্রই দেশে ফিরবেন তারা। শারিক ও আনিবার পরিবারের তরফে বারবার তাদের মুক্ত করার আবেদন করা হয়েছিল। ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে আনিবার বাবা এনসিবি’র ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ আস্থানাকে এক চিঠিতে অভিযােগ জানান, শারিকের এক আত্মীয়া তাবাসুম রিয়াজ কুরেশি এবং তার এক সহকারী নিজাম কর দু’জনে পরিকল্পনা করে এই চক্রান্ত করেছে তাদের মেয়ের বিরুদ্ধে।

শারিক এবং আনিবা কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় তাবাসুম একটি ব্যাগ তাদের হাতে দিয়েছিল। ২০১৯-এর ৫ জুলাই বেঙ্গালুরু ছাড়ে শারিক ও আনিবা। সে সময় তাবাসুমের সহকারী আরও একটি ব্যাগ তাদের দেয়। এতে মনে সন্দেহ হওয়ায় তাবাসুমকে ফোন করে ব্যাগের ব্যাপারে জানতেও চায় শারিক। তাবাসুম তাকে বলে ব্যাগে কিছু গুটখা ও জর্দা রয়েছে। কাতারে এগুলি খুবই দামি। সে কারণে বন্ধুর জন্য এগুলি পাঠাচ্ছে সে।

আনিবার বাবা শাকিল আহমেদ কুরেশির অভিযােগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে এনসিবি। তদন্তে নেমে নিজাম ও তাবাসুমকে জেরা করছেন এনসিবি’র গােয়েন্দা অফিসাররা। দেখা গিয়েছে, বিরাট একটি মাদক পাচার চত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে এই দুই অভিযুক্ত।