ভারতের সীমান্তে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি চিনের, উদ্বেগে গোয়েন্দাদের

সম্প্রতি ভারত-চিন সম্পর্ক ভালোর দিকে গড়াতে শুরু করেছে। চিন ভারতের সঙ্গে নানান চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক দৃঢ় করার কথা ঘোষণাও করেছে। কিন্তু মুখে এক বলা আর কাজে আরেক করা চিনের চরিত্রের বৈশিষ্ঠ। ভারতকে বন্ধু বললেও লাদাখ সীমান্তে ফের সন্দেহজনক কার্যকলাপ শুরু করেছে চিন।

জানা গিয়েছে, ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ১১০ কিলোমিটার দূরে প্যাংগং হ্রদের পূর্ব তীরে, এক নতুন সামরিক ঘাঁটি  তৈরি করছে চিন।  সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে, সেখানে এক বিশাল বিমান প্রতিরক্ষা কমপ্লেক্স ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছে চিনা সেনা। অত্যাধুনিক এই প্রতিরক্ষা কমপ্লেক্সে রয়েছে কমান্ড সেন্টার, ব্যারাক, যানবাহন রাখার শেড, অস্ত্রাগার এবং রাডার ঘাঁটি।

Advertisement

সামরিক ঘাঁটিতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে । গোয়েন্দা সূত্রে খবর এই উৎক্ষেপণ ক্ষেত্রটি এমনভাবে তৈরি, যাতে ছাদ সরিয়ে ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার গাড়ি দিয়ে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়। ভারত-তিব্বত সীমান্তে এমন ঢাকনাযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র এই প্রথম ধরা পড়ল। তবে দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপগুলিতে এর আগে এমন গোপন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা অলসোর্স অ্যানাসিলিস (এএসএ) জানিয়েছে, এই সুরক্ষিত কাঠামোগুলি সম্ভবত চিনের দূরপাল্লার এইচকিউ-৯ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম রাখার জন্যই তৈরি হচ্ছে। এই এইচকিউ-৯ সিস্টেম চিনের অন্যতম প্রধান বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র, যা ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।
এএসএ-র গবেষকরা প্রথম এই কাঠামোর নকশা শনাক্ত করেন।

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এমনই একটি প্রতিরূপ ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে গার কাউন্টিতে, যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে, ভারতের সম্প্রতি আধুনিকীকৃত নিয়োমা বিমানঘাঁটির ঠিক বিপরীতে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্যাটেলাইট ছবিতে একই দৃশ্য ধরা পড়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বরের ছবিতে দেখা যায়, গার কাউন্টির একাধিক উৎক্ষেপণ শেডের ছাদ আংশিক খোলা, যার নীচে রয়েছে লঞ্চার।