কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের সময় ৭ জইশ জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ওই পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেয় বাহিনী। ওই ৭ জঙ্গিকে নিকেশ করার পাশাপাশি পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীদের একটি ঘাঁটিও উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ৮ এবং ৯ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে সাম্বা সেক্টর দিয়ে জঙ্গিদের একটি বড় দল অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তাঁদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। এরপর দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর জইশের ৭ জঙ্গিকেই নিকেশ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। বিএসএফের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করে দেখানো হয়েছে, একসঙ্গে ৭ জইশ জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। বিএসএফ তার জবাব দেয়। ধনধরে থাকা একটি পাকিস্তানি ছাউনিও গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে যখন ভারতের একাধিক শহর লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক সেনা, ঠিক সেই সময় সন্তর্পণে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জেহাদিরা। তবে সেনার সতর্কতায় সেটা সম্ভব হয়নি। বিএসএফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তানি রেঞ্জার্স ঘাঁটি থেকে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে সাহায্য করা হচ্ছিল। পরিকল্পনামাফিক অনবরত গুলি চালানো হচ্ছিল, যাতে ওই জঙ্গিরা উল্টো দিক থেকে কোনও বাধার সম্মুখীন না হয়। যদিও এই পরিকল্পনা সফল হয়নি। ভারতীয় সেনা জঙ্গিদের হত্যার পাশাপাশি পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের ধনধর পোস্টটিও গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ভারতকে জবাব দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক বাহিনী। সীমান্ত ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলা বর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা। তাতে ভারতের বেশ কয়েকজন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যুও হয়েছে। শহিদ হয়েছেন কয়েকজন জওয়ান। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের তরফে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। লক্ষ্য ছিল রাজস্থান, গুজরাট এবং পাঞ্জাবের একাধিক জায়গা। জম্মু, পাঠানকোট এবং উদমপুরের সেনা ঘাঁটিও টার্গেট ছিল পাকিস্তানের। ভারতীয় সেনা বাহিনী দ্রুত পাল্টা জবাব দেয়।