• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় আদালতে জমা পড়ল ‘খালি’ সিডি

সাভারকরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন— এই অভিযোগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা হয়েছিল, তার শুনানিতে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়লেন মামলাকারীরা

সাভারকরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন— এই অভিযোগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা হয়েছিল, তার শুনানিতে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়লেন মামলাকারীরা। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আদালতে প্রমাণ হিসেবে যে সিডি জমা দেওয়া হয়েছিল—সেটি খুলে দেখা যায় সম্পূর্ণ ফাঁকা। কোনও তথ্য বা ভিডিও নেই সেখানে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে অভিযোগকারী পক্ষ।

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানির মামলার শুনানি বর্তমানে চলছে পুণের এমপি–এমএলএ আদালতে। এই মামলা করেছিলেন বিনায়ক ধর্মঅধর্ম সাভারকরের পৌত্র সত্যকি সাভারকর। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ লন্ডন সফরের সময় রাহুল ইচ্ছাকৃতভাবে সাভারকরকে অপমান করেছিলেন।

Advertisement

শুধু একবারই নয়—বরাবরই তিনি সাভারকরকে নিয়ে মিথ্যা ও নেতিবাচক মন্তব্য করে এসেছেন বলেও দাবি করেন সত্যকি। তাঁর কথায়, সত্য জেনেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য তুলে ধরেছেন রাহুল, যা সাভারকরের মতো এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের সম্মানহানির শামিল, একই সঙ্গে সাভারকর পরিবারকেও আঘাত করা।

Advertisement

যে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সত্যকি সাভারকর অভিযোগ তুলেছিলেন, সেটি আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। নির্দেশ মেনে শুনানির দিন সেই বক্তব্যের সিডি সঙ্গে নিয়ে আসেন মামলাকারীর আইনজীবী। কিন্তু সেখানেই ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। মূল প্রমাণ হিসেবে জমা দেওয়া সিডিটি খুলে দেখা যায় তা সম্পূর্ণ ফাঁকা। কোনও অডিও বা ভিডিওই নেই তাতে। ফলে বিব্রত অবস্থায় পড়েন অভিযোগকারী পক্ষের আইনজীবী।

তিনি জানান, এই সিডি আগেও আদালতে চালানো হয়েছিল এবং সংশ্লিষ্ট বক্তব্য ইউটিউবেও পাওয়া যায়, তাই সেখান থেকে সরাসরি দেখে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু রাহুল গান্ধীর আইনজীবী, মিলিন্দ দত্তাত্রেয় পাওয়ার, এই প্রস্তাবে আপত্তি জানান। তাঁর দাবি, অনলাইন কনটেন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আদালতে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। বিচারকও তাঁর মতের সঙ্গে একমত হন। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘ইউআরএল বা ইন্টারনেট লিঙ্ক প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।’

প্রমাণ হাজির করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানান। তিনি আদালতকে জানান, পরবর্তী তারিখে নতুন সিডি জমা দেবেন। তাঁর এই অনুরোধ গ্রহণ করে বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানি পিছিয়ে দেন।

Advertisement