কর্ণাটকে সরকার গড়ার পথে বিজেপি

১৪ মাসের পর কন্নড়ভূমিতে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলাে বিজেপি। এবার রাজ্য অভিষেকের পালা। দলের অন্দরে খবর ফের বি এস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন।

Written by SNS New Delhi | July 25, 2019 11:48 am

বি এস ইয়েদুরাপ্পা (File Photo: IANS)

১৪ মাসের পর কন্নড়ভূমিতে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলাে বিজেপি। এবার রাজ্য অভিষেকের পালা। দলের অন্দরে খবর ফের বি এস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন।

সুত্রের খবর, বুধবারই রাজ্যপাল বাজুভাই বালার কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারে বিজেপি । তবে এরই মধ্যে ১৫ জন বিধায়কের ভবিষ্যৎ এখন অবধি অনিশ্চিত। তাদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন অধ্যক্ষ কে আর রমেশ।

মঙ্গলবার আস্থা ভােটে জোট সরকারের পতনের পরই উল্লাসে ফেটে পড়ে বিজেপি শিবির। বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, এটা গণতন্ত্রের জয়। এবার রাজ্যে উন্নয়নের নতুন যুগ শুরু হবে। মানুষ এই সরকার নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।

বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যপাল বাজুভাই বালার কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারেন ইয়েদুরাপ্পা। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

কর্নাটকে জেডি (এস)-কংগ্রেস জোট সরকারের পতনের পিছনে যে বিজেপিরই হাত রয়েছে প্রথম থেকে দাবি করে আসছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার টুইটে রাহুল গান্ধি নাম না করেই বিধেছেন শাসক দলকে। দাদার মতাে বােন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রাও মনে করেন কর্নাটকে সরকার পতনের পিছনে কায়েমি স্বার্থই কাজ করেছে।

কর্নাটকে ১৪ মাসের জোট সরকারের পতনের পর দাদা রাহুল গান্ধির মতাে সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে জানিয়েছেন, ‘সব কিছু যে কেনা যায় না তা একদিন ওই পার্টি আবিষ্কার করবে’। চলতি মাসে টানা ২ সপ্তাহ ধরে সরকার ফেলার জন্য টানাপােড়েন চলছে কর্নাটকে।

আস্থা ভােট নিয়ে নাটক চলে আরও ২ দিন। অবশেষে মঙ্গলবার নাটকের যবনিকা হল জোট সরকারের পতনের মধ্যে। কুমারস্বামীর পক্ষে ভােট পড়ে ৯৯, অন্যদিকে বিজেপি দখলে যায় ১০৫ টি ভােট।

কর্নাটকে ১৪ মাসের জোট সরকারের পতনের পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা টুইটে লিখেন, ‘একদিন বিজেপি আবিষ্কার করবে সব কিছু কেনা যায় না। সবাইকে শাসানাে যায় না, মিথ্যা একদিন সামনে আসবেই’।

টুইটারে কংগ্রেস নেত্রী শাসক দলকে একহাত নিয়ে আরও জানিয়েছেন, ‘ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশের মানুষকে ওদের লাগাম ছাড়া দুর্নীতি সহ্য করতে হবে। সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস করছে। গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে, যা এসেছে দশকের পর দশক ধরে কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে’।

কুমারস্বামী সরকারের পতনের পর মঙ্গলবার টুইটারে রাহুল গান্ধি লিখেছিলেন, ‘কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডি (এস) এর সরকার ভিতর বাইরে কায়েমি স্বার্থান্বেষীদের নিশানায় ছিল প্রথম দিন থেকে। ক্ষমতা কব্জা করার পথে এই সরকারকে বিপদ ও বাধা হিসাবে দেখেছিল তারা। ওদের লােভই জিতে গেল আজ। পরাজয় হল গণতন্ত্র, সততা ও কর্নাটকের জনগণের’।