সিবিআই তদন্ত চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ বিজেপি

বিধায়ক মৃত্যুতে সোমবারই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি’র প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার এই দাবি আরও জোরাল করতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল বিজেপি।

Written by SNS New Delhi | July 15, 2020 7:40 pm

প্রতীকী ছবি (File Photo: IANS)

বিধায়ক মৃত্যুতে সোমবারই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার এই দাবি আরও জোরাল করতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল বিজেপি । দাবি একটাই, বিধায়ক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত। নিরপেক্ষ তদন্ত না করলে অপরাধীদের গ্রেফতার করার বিষয়ে রাজ্য পুলিশ সক্রিয় হবে না।

রাজ্যের তদন্তের ওপর ভরসা করা যায় না। কারণ, এর আগে শতাধিক রাজনৈতিক খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতার নজির রয়েছে। সেকারণে হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন।

সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজনৈতিক হিংসা’ নিয়ে বিশদ খতিয়ান তুলে ধরে বিজেপি’র প্রতিনধিদল। এদিন সকালে পুলিশের হাতে আসা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দেবেন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছেন বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট সামনে আসার আগেই এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন পাঁচ সদস্যের এক বিজেপি প্রতিনিধিদল।

এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলায় দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মূলত তাঁর নেতৃত্বেই রাজ্য বিজেপি’র সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিক্ত এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে যান।

কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠিও দেন। সেই চিঠিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের পরিস্থিতি কেমন ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। পুরুলিয়ায় বিজেপি’র দুই তরুণ নেতা ত্রিলোচন মাহাতো এবং দুলাল কুমারকে যেভাবে গাছে ঝুলিয়ে খুন করা হয় সেকথাও তুলে ধরা হয়েছে। সেই সময় স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছিল।

গত তিন বছরে শাসকদলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের হাতে ১০৫ জন বিজেপি নেতা ও সমর্থক খুন হয়েছেন। কিন্তু কোনও অভিযুক্তকেই পুলিশ হেফাজতে নেয়নি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাইছে বিজেপি। সেই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় এই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এধরনের কথা বলতে পারেন কিনা এই প্রশ্ন তুলে এদিন সরব হয় বিজেপি। কারণ এধরনের মন্তব্য অসাংবিধানিক ও আইনবিরুদ্ধ।

উত্তরদিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভার বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের হত্যার প্রতিবাদে ধমর্ঘট পালন করল দক্ষিণদিনাজপুর জেলা বিজেপি। মঙ্গলবার তার আত্মার শান্তি কামনায় ভারতীয় জনতা যুবমোর্চা বালুরঘাট নগর মন্ডলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

এদিন বালুরঘাট শহরের একটি মিছিল করে এই মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মনকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের সিআইডির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন সাংসদ। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, যে সিআইডি এতদিনে তৃণমূল বিধায়কের খুনের তদন্ত করতে পারেনি তারা বিজেপি বিধায়কের খুনের তদন্ত করবে কিভাবে। অবিলম্বে এই ঘটনয়া সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।