লখনউ, ১৮ মার্চ – সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আজম খানকে দুঙ্গারপুর মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর এমপি-এমএলএ আদালত। এই মামলায় আরও ৩ জনকে ৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট ৫ টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেলেন সপা নেতা। আপাতত উত্তরপ্রদেশের সোনাপুর জেলে রয়েছেন আজম খান। সোমবার দুঙ্গারপুর মামলায় সাজা ঘোষণার সময় ভারচুয়ালি সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের এই বাহুবলী নেতা।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির শাসনাধীনে ‘আসরা আবাস প্রকল্প’-এ সরকারি আমলাদের জন্য বাড়ি বানানো হয় দুঙ্গারপুরে। কিন্তু আগে থেকেই এই জায়গায় অনেকে বসবাস করছিলেন। তবে বাহুবলী নেতা আজম খানের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ওই জমিকে সরকারি জমি দেখিয়ে সব বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। লুটপাটের অভিযোগ ওঠে।
Advertisement
২০১৯ সালে এই ঘটনায় রামপুরের গঞ্জ থানায় এক ডজনেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ওঠে, সপা সরকারের আমলে আজম খানের নির্দেশমাফিক পুলিশ ও এসপিরা বাড়ি তৈরির জন্য জবরদস্তি বাড়ি খালি করেন। বুলডোজার দিয়ে সেখানে তৈরি সব বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলা হয়।
Advertisement
এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সোমবার ৭ বছরের জন্য আজম খানকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। ৫ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আজহার আহমেদ খান, ঠিকাদার বরকত আলি, অবসরপ্রাপ্ত সিও আলে হাসানকে।
২০১৯ সালে ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে জেলবন্দি আজম খান। ৭ বছরের সাজা হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি আজমের স্ত্রী তানজিন ফাতিমা ও ছেলে আবদুল্লা আজমকেও ওই মামলায় ৭ বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। বর্তমানে পৃথক পৃথক জেলে বন্দি আজমের পরিবারের সদস্যরা।
Advertisement



