একটির দামে দু’টি এলপিজি সিলিন্ডার হত কংগ্রেস জমানায়, তোপ রাহুলের

শনিবার থেকে ফের আরেক দফা দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের। রাজধানী দিল্লিতে ৯৯৯-এর কোঠায় দাম আটকে থাকলেও কলকাতা-সহ অধিকাংশ শহরেই দাম পার করেছে হাজারের ঘর।

Written by SNS Kolkata | May 9, 2022 9:44 am

শনিবার থেকে ফের আরেক দফা দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের। রাজধানী দিল্লিতে ৯৯৯-এর কোঠায় দাম আটকে থাকলেও কলকাতা-সহ অধিকাংশ শহরেই দাম পার করেছে হাজারের ঘর।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

তথ্য তুলে ধরে তাঁর দাবি, মোদি জমানায় শূন্য হয়েছে রান্নার গ্যাসের ভরতুকি। এখন যে দামে রান্নার গ্যাসের একটি সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে, কংগ্রেস জমানা হলে এই দামে জোড়া সিলিন্ডার হয়ে যেত।

কংগ্রেসের বক্তব্য, দেশের হাল বেহাল করে নিজেদের মালামাল করছে বিজেপি। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

তিনিও অবিলম্বে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের অনিয়ন্ত্রিত দাবি তোলেন।মুদ্রাস্ফীতি, অযোগ্য প্রশাসন, বেকারত্ব বৃদ্ধি, সবকিছুর জন্যই রাহুল বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন।

রান্নার গ্যাসে সাধারণ মানুষ যে ভরতুকি পেতেন তা কমতে কমতে শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা।

রবিবার টুইটারে কংগ্রেস নেতা তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সালে কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন এক সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ছিল ৪১০ টাকা। সরকার ভরতুকি দিত ৮২৭ টাকা।

আজ মোদি জমানায় সিলিন্ডার প্রতি গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯৯ টাকা। আর সরকারের ভরতুকি শূন্য। আজকের একটি সিলিন্ডারের দামে আগে হলে দুটি সিলিন্ডার হয়ে যেত।

রাহুলের দাবি, শুধু কংগ্রেসই দেশের গরিব এবং মধ্যবিত্তর কথা ভেবে সরকার চালায়। এটাই আমাদের অর্থনৈতিক নীতির মূল ভিত্তি।

গত কয়েক মাসে পেট্রোল-ডিজেলের বিপুল মূল্যবৃদ্ধি এবং তার পরোক্ষ জেরে সমস্ত নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের দাম আগুন হয়েছে। তা নিয়েও ফের কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।

যদিও বিজেপি শিবিরের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম দিন দিন মহার্ঘ হচ্ছে। তারই জেরে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে।

কিন্তু তথ্য বলছে, সত্যিই মোদি সরকার গত ৭ বছরে ধাপে ধাপে রান্নার গ্যাসে ভরতুকি কার্যত তুলে দিয়েছে।

সেই ২০১৬-১৭ সাল থেকেই ভরতুকির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমা শুরু করেছে। গত আর্থিক বছরের আগে পর্যন্ত নামমাত্র ভরতুকি দেওয়া হলেও এখন তা প্রায় শূন্য।

মজার কথা হল, ২০১৬ সালের পর রান্নার গ্যাসে কী পরিমাণ ভরতুকি দেওয়া হয়েছে, তার কোনও তথ্যই নেই সরকারের কাছে।