প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় লাগাতার বৃষ্টিতে বাড়ি ধসে ও অন্যান্য বিপর্যয়ের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শুরু হয়েছে ব্যাপক উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ৮০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মুম্বই, থানে, পালঘর, রাইগাড, নাসিক ঘাট এবং পুনে ঘাট এলাকায় আরও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর জলস্তর দ্রুত বেড়ে চলেছে। বিশেষ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোদাবরী নদীর জলস্ফীতি।
Advertisement
নাসিক জেলার একাধিক জায়গায় বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিন জনের। জলবন্দি হয়ে পড়েছে বহু গ্রাম ও শহর। বিশেষ করে জয়কওয়াড়ি বাঁধে জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায়, পৈথান ও শম্ভাজিনগরের প্রায় সাত হাজার বাসিন্দাকে তড়িঘড়ি নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
সতর্ক প্রশাসন ইতিমধ্যেই তৎপর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছেন। একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে তিনি প্রশাসনকে সতর্ক এবং সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হয়েছে এনডিআরএফ, পুলিশ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি।
এই পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০৫ সালের ভয়াবহ বন্যার কথা। ওই বছর জুলাই মাসে লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্র। দিনের পর দিন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল স্বাভাবিক জনজীবন। এবারের প্রাকৃতিক দুর্যোগও সেই ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিচ্ছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, যদি বৃষ্টিপাতের মাত্রা আরও বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সাবধানতা অবলম্বন করতে এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর আহ্বান জানানো হয়েছে।maharas
Advertisement



