• facebook
  • twitter
Friday, 21 March, 2025

দেশের একাধিক শহরে বন্ধ ফিটজি-র ৮টি শাখা, দুর্ভোগে পড়ুয়ারা 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ফিটজি-র এক শিক্ষক জানান, তাঁরা বহু মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না

প্রতীকী চিত্র

উত্তর ভারতে গত কয়েক সপ্তাহে আচমকা পর পর বন্ধ হয়ে গেল ফিটজি-র বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার। দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে গত কয়েকদিনে ফোরাম ফর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি -জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন তথা ফিটজি-র ৮টি শাখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেন্টারগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত অভিভাবকদের, চরম সমস্যার মুখে শিক্ষার্থীরা। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং বিহারে ফিটজির বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়েছে বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দিল্লির লক্ষ্মী নগর, নয়ডা সেক্টর ৬২, উত্তরপ্রদেশের মেরঠ, গাজিয়াবাদ, লখনউ ও বারাণসীর ফিটজির শাখাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল ও বিহারের পাটনাতেও বন্ধ হয়েছে ফিটজির সেন্টার।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন-এর  মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহু বছর ধরেই জনপ্রিয় ফিটজি। তবে জানা যাচ্ছে, এই সংস্থা শিক্ষকদের সময়মতো বেতন দিচ্ছিল না।আর সেই কারণেই গত কয়েকদিনে দিল্লি, মিরাট, বারাণসী, ভোপাল, গাজিয়াবাদ, পাটনার ফিটজির কোচিং সেন্টারের শাখাগুলি পর পর বন্ধ হয়ে যায়। গাজিয়াবাদের সেন্টারের ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, তারা নয়ডা থেকে শিক্ষক আনিয়ে সেন্টারটি চালু রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পড়ুয়াদের আগে থেকেই ওই বেসরকারি সংস্থা কোনও নোটিস দেয়নি, টাকাও ফেরৎ দেয়নি। অভিভাবকদের অভিযোগ, বহু পড়ুয়ার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার পর এখন মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলি। এর জেরে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। এদিকে অভিযোগ করা হয়েছে, গাজিয়াবাদের সেন্টারের শিক্ষকদের বেতনও দেওয়া হয়নি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ফিটজি-র এক শিক্ষক জানান, তাঁরা বহু মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। অন্যদিকে আবার সম্প্রতি ফিটজির বহু সেন্টারের বিরুদ্ধে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নিয়মাবলী অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী লাইসেন্স সংক্রান্ত অভিযোগও উঠেছে।
সামনেই বোর্ডের পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিকের পরই জয়েন্ট এন্ট্রান্স। এই সময় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ভয়ঙ্কর চাপ থাকে পরীক্ষার্থীদের উপর। জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাগুলির সময় অন্যতম ভরসা কোচিং সেন্টারগুলি। আর ঠিক সেই সময় একের পর এক ফিটজি-র একাধিক কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার সম্মুখীন পরীক্ষার্থীরা।
১৯৯২ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইঞ্জিনীয়ারিং, নিট পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের তৈরি করে আসছিল এই সংস্থা। ৪১টি শহরে এই সংস্থার কমপক্ষে ৭২টি শাখা রয়েছে, সেগুলিতে কর্মরত কমপক্ষে ৩০০ জন। যদিও সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু জানানো হয়নি।