সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ, আত্মঘাতী ‘বয়েজ লকার রুম’ সদস্য

গুরুগ্রামের এক ১৪ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল এক কিশোরী। তারপরেই আত্মঘাতী হল সেই কিশোর।

Written by SNS New Delhi | May 7, 2020 1:50 pm

গুরুগ্রামের এক ১৪ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল এক কিশোরী। তারপরেই আত্মঘাতী হল সেই কিশোর। সোমবার গভীর রাতে অ্যাপার্টমেন্টের ১২ তলা থেকে ঝাঁপ মারে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কিশোরের। জানা গিয়েছে, ওই কিশোর ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ ‘বয়েজ লকার রুম’এর সদস্য। এই গ্রুপে চলা মেয়েদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও ধর্ষণের কথাবার্তা বাইরে আসার পরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কিশোরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে এক কিশোরী। সেখানে সে লেখে, দু’বছর আগে জোর করে তার অ্যাপার্টমেন্টের বেসমেন্টে তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল। সে কথা বাইরে না প্রকাশ করার জন্য ভয় দেখানো হয়েছিল তাকে। এই কথা লুকিয়ে রাখতে রাখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল সে। অবশেষে অনেক সাহস করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সব কথা সে লিখেছে। সেখানে শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই কিশোরের নামে অভিযোগ করে সে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। কিন্তু তার ফোনে অনেক সহপাঠী মেসেজ করে তাকে সাবধান করেছে যে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেই সহপাঠীদের অনেকেই ‘বয়েজ লকার রুম’ গ্রুপের সদস্য। কিশোরের ফোনে আরও কিছু আছে কিনা তা জানার জন্য ফোনটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ওই কিশোরকে ঝাঁপ মারতে দেখে অন্য একটি বিল্ডিংয়ে থাকা তার বন্ধু। এই ঘটনার পরেও সে নাকি নীচে গিয়ে কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখেও কাউকে খবর দেয়নি। তারপর সেই বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা খবর দেন সেক্টর ৫৩ পুলিশ স্টেশনে।

এসআইচও দীপক কুমার জানিয়েছেন, তাঁরা গিয়ে দেখেন চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাঁরাই ওই কিশোরের বাবা-মাকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পরে একটি অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে তারা। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা মনে হলেও এর পিছনে কারও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই কিশোরের বন্ধু ও অভিযোগকারী কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।