• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ঊর্ধ্বমুখী কোভিড, অ্যাক্টিভ কেস ৬৮১৫, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল-গুজরাট

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮১৫

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮১৫। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩২৪ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন কেরল ও গুজরাটে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড তিনজনের প্রাণ কেড়েছে। কোভিড মুক্ত হয়েছেন ৭৮৩ জন। স্বস্তির খবর এটাই যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।

করোনা আক্রান্তের দিক থেকে কেরল দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। এরপরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি। সারা দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮১৫। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্ণাটকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৬ জন, গোটা দেশের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য, অরুণাচল প্রদেশ ও মিজোরামে কোনও অ্যাক্টিভ কেস নেই। কেরলে এ পর্যন্ত ১৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০৫৩।

Advertisement

গুজরাটে ১১০৯, মহারাষ্ট্রে ৬১৩, দিল্লিতে ৬৯১, কর্নাটকে ৫৫৯ এবং পশ্চিমবঙ্গে ৭৪৭ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন। এই রাজ্যগুলোতেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক্সএফজি ভ্যারিয়েন্ট-সহ বেশ কিছু নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরালা এবং গুজরাটে এক্সএফজি ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১৬৩ জনের সন্ধান মিলেছে।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্তরা মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ এবং প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা (সারি)-সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। একাধিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া প্রতি রোগীকেই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে জিনোম সিকোয়েন্সিং-সহ একাধিক বিষয় পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। চলতি মাসের ২ এবং ৩ তারিখে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রিভিউ মিটিং হয়। সেখানে জনস্বাস্থ্যের জেনারেল ডিরেক্টর সুনীতা শর্মার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন হাসপাতালের প্রস্তুতি সহ নানা বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয়।

করোনা ভাইরাসের শেষ বড় ঢেউটি হয়েছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জন্য। সেটিই একটু পাল্টে নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এসেছে। এটি ওমিক্রনেরই একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। যদিও এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ হিসেবে এখনও উল্লেখ করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে মাস্ক পরা এবং ভিড় এড়িয়ে চলার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি মেনে চলা জরুরি।

Advertisement