• facebook
  • twitter
Monday, 28 July, 2025

বিহারে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, পুলিশি এনকাউন্টারে খতম এক দুষ্কৃতী

পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের অন্যতম রাজা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাটনার মাল সালামি এলাকায়।

ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের অন্যতম রাজা পুলিশের গুলিতে নিহত। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাটনার মাল সালামি এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খেমকা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজা ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন। খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে নামে পাটনা পুলিশ। অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন রাজা। আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রাজা। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও বেশ কিছু কার্তুজ। পুলিশ জানিয়েছে, সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রাজার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

ব্যবসায়ী খেমকার খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ধরা পড়েছেন এই মামলার মূল অভিযুক্ত উমেশ রাই। তার আগের দিন, রবিবার খেমকার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়া রোশন কুমার নামে এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রোশনই খুনের ছক কষেছিল এবং উমেশকে হত্যা করতে নিয়োগ করেছিল। রাজা অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন বলে সন্দেহ।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তিগত বা আর্থিক শত্রুতার ফল নয়, এর পেছনে থাকতে পারে গভীর ষড়যন্ত্র। খেমকা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিজেপির ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। কেউ রেহাই পাবেন না।’

প্রসঙ্গত, পাটনার অভিজাত এলাকা, গান্ধী ময়দানের সংলগ্ন পানাচে হোটেলের কাছে ‘টুইন টাওয়ার’ সোসাইটিতে থাকতেন খেমকা। শুক্রবার রাতে অন্যান্য দিনের মতোই কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, বাড়ির কাছে এসে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গুলি করা হয়। গুলি করেই আততায়ী পালিয়ে যায়। লুটিয়ে পড়েন গোপাল। ঘটনাস্থলেই গোপালের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল, আবাসন সহ একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গোপাল।

পুলিশ জানতে পেরেছে, গোপালকে হত্যা করতে রীতিমতো এক সপ্তাহ ধরে এলাকার রেইকি করে হত্যাকারী উমেশ। ছ’বছর একইভাবে খুন করা হয়েছিল গোপালের ছেলেকেও। নির্বাচনের আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধী শিবির। গোটা ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল।