খুনের সুপারির টাকা দিয়ে মেয়ের স্কুলের ফি মিটিয়েছিলেন অভিযুক্ত উমেশ যাদব। বিহারের ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা গোপাল খেমকা খুনের ঘটনায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। জানা গিয়েছে, গোপালকে খুন করতে উমেশ মোট ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকার পুরোটা পাওয়া যায়নি। ৪৫ হাজার টাকা তাতে কম ছিল। এই টাকা কোথায় গেল তা নিয়ে উমেশকে প্রশ্ন করতেই তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের স্কুলে ফি বাকি ছিল। খুনের সুপারির টাকা দিয়ে স্কুলে ফি মেটান তিনি। তবে উমেশের এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে তাঁর মেয়ের স্কুলে যাবেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গোপাল খেমকাকে খুনের জন্য উমেশ যাদবকে ভাড়াটে খুনির খোঁজ করতে বলেছিলেন আর এক ব্যবসায়ী তথা এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অশোক শাহ। একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল অশোক ও গোপালের। তার জেরেই খুনের সুপারি দেওয়া হয়। উমেশ ও অশোক পূর্ব পরিচিত। তাঁদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্কই ছিল। সেই সূত্রে উমেশকে ভাড়াটে খুনি জোগাড় করতে বলেন অশোক। গোপালকে খুনের জন্য ৪ লক্ষ টাকা দিতে রাজি ছিলেন তিনি। অশোকের নির্দেশ মতো শুটারের খোঁজ শুরু করেন উমেশ।
সেই সময় তিনি পটনারই এক শুটার রাজার খোঁজ পান। কিন্তু রাজা ৪ লক্ষ টাকায় খুন করতে রাজি হননি। তিনি আরও বেশি টাকা দাবি করেন। এই আবহে উমেশ নিজেই ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ব্যবসায়ী গোপালকে খুনের সুপারি নেন। তাঁকে অস্ত্র সরবরাহ করেন রাজা। খুনের আগে ৫০ হাজার টাকা উমেশকে দিয়েছিলেন অশোক। খুনের পর বাকি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে উমেশকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উমেশকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, খেমকাকে খুনের পরিকল্পনা দেড় মাস আগেই করেছিলেন অশোক। সেভাবেই উমেশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অশোক চেয়েছিলেন, এই ঘটনায় যেন তাঁর নাম কোনওভাবেই জড়িয়ে না যায়। খুনের জন্য নেওয়া অর্থের সম্পূর্ণটা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সেই টাকা দিয়ে মেয়ের স্কুলের ফি মেটানো সংক্রান্ত উমেশের দাবি কতটা ঠিক তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর জন্য স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা গোপাল খেমকা।