সমাজ মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল এক যুবকের সঙ্গে। সম্পর্ক গভীর হলে মধ্যপ্রদেশে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ওই যুবক-সহ তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জব্বলপুর এলাকার ১৪ বছর বয়সের ওই নাবালিকাকে তিন দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। মধ্যপ্রদেশের মান্ডালা জেলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জমা পড়লে তদন্ত শুরু করেছে সেখানকার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকার সঙ্গে সমাজ মাধ্যমে পরিচয় হয় রাজন নামের এক যুবকের। সমাজ মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাদের। পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবক ওই ছাত্রীকে কানহা ব্যাঘ্র প্রকল্প ঘুরিয়ে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিলে নাবালিকা রাজি হয়ে যায়। নাবালিকাকে মান্ডালা আসার প্রস্তাব দেন যুবক। সেইমতো ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জবলপুর থেকে মান্ডালায় পৌঁছে যায় নাবালিকা। যুবকের সঙ্গে দেখা করে সে। তখন তাকে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় ওই যুবক। অভিযোগ, সেই বাড়িতে ছাত্রীকে তিন ধরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে যুবক ও তার বন্ধুরা। নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
Advertisement
জব্বলপুরের গারহা থানার আধিকারিক প্রসন্ন শর্মা জানিয়েছেন যে মান্ডলা জেলার ওই যুবক জব্বলপুরে এসে মেয়েটির সঙ্গে দেখাও করেছিল। তারা ফোনেও কথা বলত। কিন্তু ওই নাবালিকার পরিবার সেই সম্পর্ক জানার পরে মেয়েটির কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই যুবক জব্বলপুরে এসে মেয়েটিকে একটা নতুন মোবাইল দিয়েছিল।
Advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মাসের ১৭ তারিখে ওই নাবালিকার মা শহরের বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে রাজন মেয়েটিকে ফোন করে মান্ডলা আসার জন্য বলে। সেই কথা শুনে গত ২১ তারিখে বাসে মান্ডলা গিয়েছিল ওই নাবালিকা।
মেয়েটির মা বাড়ি ফিরে এসে মেয়েকে দেখতে পাননি। তিনি এর পিছনে ওই যুবকের হাত আছে বলে সন্দেহ করেন । ওই যুবককে ফোনকে তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার হুমকি দেন। এর পরে, গত ২৪ তারিখে মেয়েটি নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে মান্ডলা বাসস্ট্যান্ডে ছেড়ে দিয়ে যায় দুই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির অভিযোগ, রাজন তার কিছু আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিয়ও তুলে রেখেছিল। ওই ঘটনার কথা কাউকে বললে সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে সব কিছু বলার পরে সে থানায় এসে অভিযোগ জানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
Advertisement



