প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন বাবা। বাড়িতে ফিরেই শুরু হয়ে যেত মায়ের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ। প্রতিদিনের এই অশান্তি আর সহ্য করতে পারেনি নাবালিকা। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজের বাবাকেই কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই নাবালিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের যশপুর জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগবাহার থানার অন্তর্গত গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গত ২২ এপ্রিল এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরে ছিল একাধিক কুড়ুলের কোপের দাগ। তদন্ত শুরু করার পর পুলিশ শুক্রবার ওই ব্যক্তির ১৫ বছর বয়সের মেয়েকে আটক করেছে।
জেরায় নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে, তার বাবা নিত্যদিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। শুধু ঝগড়াই নয়, মাকে মারধরও করতেন। প্রতিটি দিন বাবার এই আচরণ দেখে বিচলিত হয়ে পড়ে সে। এর হাত থেকে নিস্তার পেতে চেয়েছিল নাবালিকা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত সোমবার রাতে ওই নাবালিকার মা বাড়িতে ছিলেন না। তখন তার বাবা মদ্যপান করে বাড়ি ফেরেন। মা সেদিন না থাকায়, বাড়ি ফেরার পর নাবালিকার সঙ্গেই অশান্তি শুরু করে দেন। তখনই রাগের বশে বাড়িতে থাকা কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে খুন করে সে।পরের দিন বিষয়টি প্রতিবেশীদের নিজেই জানায়। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। যশপুরের পুলিশ সুপার শশীমোহন সিংহ জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে একটি হোমে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।