• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জলন্ধরের হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বন্ধ, মৃত্যু তিন রোগীর

জলন্ধরের একটি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ট্রমা কেয়ারের আইসিইউ-তে ভর্তি থাকা তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

জলন্ধরের একটি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রমা কেয়ারের আইসিইউতে ভর্তি থাকা তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতদের পরিজনেরা। অন্যদিকে, গোটা ঘটনার দায় আপ সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস।

রবিবার গভীর রাতে জলন্ধরের ওই হাসপাতালে আচমকাই অক্সিজেন প্লান্ট কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকায় আইসিইউতে ভর্তি থাকা তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে, একজন যক্ষ্মা ও অপর একজন ওষুধের ওভারডোজে অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন। তিনজনই অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, আগে থেকেই অক্সিজেন মেশিনে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু বারবার জানানো সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। মৃত অর্চনার পরিবারের বক্তব্য, ‘গত সাত দিন ধরে মেয়েকে এখানে ভর্তি রাখা হয়েছিল। কয়েকবার অক্সিজেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রবিবার রাতে ফের অক্সিজেন বন্ধ হয়ে যায়, আর তাতেই মৃত্যু হয়।’

Advertisement

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। কংগ্রেসের অভিযোগ, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সরকার স্বাস্থ্য বিপ্লবের কথা বললেও বাস্তবে চিত্র একেবারে ভিন্ন। এক বিবৃতিতে কংগ্রেস দাবি করেছে, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা আজ প্রশাসনের গাফিলতির বলি। অক্সিজেন প্লান্ট বন্ধ হওয়া শুধুই যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, এটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা। অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, অক্সিজেন প্লান্টে আগে থেকেই কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল, যা দ্রুত মেরামত করা হয়। যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অবস্থা আগে থেকেই সংকটজনক ছিল। অক্সিজেন সমস্যা সমাধানের পরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি কর্তৃপক্ষের।

ঘটনার তদন্তে প্রশাসনিক স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসপাতাল ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এখনই কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনা পাঞ্জাবের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা ফের একবার সামনে এনে দিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement