• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

২১ দিনে ১৬ বিএলও-র মৃত্যু, সংস্কারের নামে অত্যাচার:রাহুল

এসআইআর নিয়ে শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে যেভাবে বিএলও -দের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে তার প্রমাণ বিএলও মৃত্যুর পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, গত ২১ দিনে ১৬ জন বিএলও মারা গিয়েছেন।তাঁর কথায়, ‘ভোটার সংশোধনের নামে যা চলছে তা হল একপ্রকারের চাপিয়ে দেওয়া অত্যাচার। এক হিন্দি দৈনিকে প্রকাশিত খবরকে উদ্ধৃত করে তিনি এক্স-এ একথা লেখেন। 

এসআইআর নিয়ে শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, বিরোধী দলের ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যই কমিশন এই এসআইআর-এর আয়োজন করেছে। একইসঙ্গে তিনি বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ তোলেন।   
 
রাহুল ফের অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন,  কমিশন এমন এক পদ্ধতি নিয়েছে, যে পদ্ধতিতে কোটি কোটি মানুষ দুই দশক আগের হাজার হাজার পাতার ভোটার তালিকায় নিজের নাম খুঁজতে গিয়ে হয়রান হয়ে যাচ্ছে। রাহুলের মতে এটি এমন এক ধরণের কৌশল যাতে ভোটাররা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। 
 
বিএলও-দের চাপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাহুল বলেছেন, বিএলও-দের উপর রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদের চাপ রয়েছে, চাপ রয়েছে প্রশাসনের। কারণ এসআইআর-এর উদ্দেশ্য হল, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা যা বাংলার মতো সীমান্ত রাজ্যগুলিতে একটি সংবেদনশীল বিষয়। 
 
এসআইআর নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। তিনি এক্স-এ লেখেন, ‘বিএলও মৃত্যুর সংখ্যা আদতে অনেক বেশি যা খুবই উদ্বেগের। এই পরিবারগুলিকে ন্যায়বিচার কে দেবে ?’ 
 
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই আইনজীবী, আমলা-সহ বিশিষ্টরা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি দেন। চিঠিতে তাঁদের বক্তব্য ছিল, রাহুল ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থার গৌরবকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন।
তাঁদের পরামর্শ ছিল, রাহুল যেন নির্বাচন কমিশনকে রাজনীতিতে না জড়ান। একইসঙ্গে রাহুলের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন কেন্দ্রের শীর্ষস্তরের মন্ত্রীরাও। যদিও সেসব সমালোচনাকে আমল দিচ্ছেন না লোকসভার বিরোধী দলনেতা।  

Advertisement

Advertisement