মুদি দোকান থেকে ট্রেনের টিকিট কাউন্টার, ফুচকার স্টল থেকে বাসের টিকিট, খুচরো নিয়ে ঝামেলা সর্বত্রই। সমস্যা মেটাতে অনেক দোকানই ইউপিআই পরিষেবা শুরু করেছেন। অনেক স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে শুরু হয়েছে ইউপিআই পরিষেবা। কিন্তু বাসের ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও সেভাবে চালু হয়নি ইউপিআই। সেই কারণে সমস্যায় পড়ছেন একটা বড় অংশের যাত্রীরা। এই সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে চলেছেন বাসমালিকেরা।
বেশ কিছু বেসরকারি বাস মালিক কিউআর কোডে ভাড়া নেওয়ার পরিষেবা চালু করেছেন। তাঁরা বাসের একেবারে সামনে বা যাত্রীদের সিটের উপরে লাগিয়ে রাখছেন কিউআর কোড। যাত্রীরা খুব সহজেই সেটিকে স্ক্যান করে এক নিমেষে মিটিয়ে দিতে পারছেন ভাড়া। বি গার্ডেন থেকে বারাসত রুটের ৮টি বাসে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। এর পাশাপাশি বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ থেকে সাপুরজি রুটের কেবি১৬, ধামাখালি-বারাসাত ডিএন১৬/২, মৌরিগ্রাম-সল্টলেক মিনিবাস ২০এ, রুইয়া পূর্বপাড়া-হাওড়া রুটের ৫৬ নম্বর বাসে অনলাইনে টিকিট কাটা যাচ্ছে। বারাসত থেকে সাঁতরাগাছি, বেলেঘাটা ইএম বাইপাস থেকে কলেজ মোড়ের বেশ কিছু রুটে বাসে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, অন্যান্য বেসরকারি বাস মালিকরাও এই ইউপিআই পরিষেবা চালু করার দিকে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায় এবং কর্মচারীরা এই ব্যবস্থাকে রপ্ত করতে পারেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সমস্ত বাসই অনলাইনে ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে পারে। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাসভাড়া মেটানোর ক্ষেত্রে খুচরো টাকার সমস্যা থেকে শুরু করে ছেঁড়াফাটা নোটের সমস্যা লেগেই থাকে। সেই সমস্যা মেটারে কয়েকটি বেসরকারি বাস রুট পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করেছে। অন্যান্য বেসরকারি বাস মালিকরাও এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন।’