• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

এসএসকেএমে সিজার করার সময় ভাঙল কাঁচি, রিপোর্ট চাইল স্বাস্থ্যভবন

উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রক্তমাখা গ্লাভস এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

এসএসকেএম হাসপাতালে অপারেশন চলার সময় কাঁচি ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হল। ঘটনা সামনে আসতেই রোগীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। অভিযোগ উঠেছে, কাঁচিটিতে মরচে ধরেছিল। এই কারণে অপারেশনের সময় সেটি ভেঙে যায়। সেই ভাঙা কাঁচির ছবি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন চিকিৎসক রশ্মি চট্টোপাধ্যায়। এরপরই এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
চিকিৎসক রশ্মি জানিয়েছেন, ২২ অক্টোবর এসএসকেএম হাসপাতালে এক প্রসূতির সিজার করছিলেন তিনি। তখনই ভেঙে যায় মরচে ধরা ওই কাঁচি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওটির দায়িত্বে থাকা সিস্টার ইন–চার্জকে ঘটনার কথা জানান। ভাঙা কাঁচিটি ফেলে নতুন একটি কাঁচি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করেন তিনি। এই ঘটনা এসএসকেএম হাসপাতালে নতুন নয় বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসক রশ্মি। এর আগেও তাঁর সামনে ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও জানান, এই ধরনের কাঁচি দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হলে রোগীর পেটে আঘাত লাগতে পারে।

অপারেশন চলাকালীন কীভাবে কাঁচিটি ভেঙে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, মরচে পড়া কাঁচিটির উপর রং করে রাখা ছিল। এই কাঁচি কীভাবে অপারেশন থিয়েটারে এল তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিল ভেঙে ওই কাঁচি অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ভাঙা কাঁচির ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।

Advertisement

এই ঘটনায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মানুষের ট্যাক্সের টাকায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নামে মানুষের প্রাণ নিয়েই ছেলে খেলা হচ্ছে। চিকিৎসকরা আগেও বলেছেন হাসপাতালে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর মান ক্রমশ পড়ছে। গলা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে থাকা সরকারের কাছে এছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না।’
তৃণমূলের তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কিছু চিকিৎসক সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা তৈরি করে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সুবিধা করে দিতে চান। তাঁরাই এসব প্রচার করছেন। কে বলতে পারে উনি কাঁচিটা বাড়ি থেকে নিয়ে আসেননি?

Advertisement

উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রক্তমাখা গ্লাভস এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।

Advertisement