পেঁয়াজ উৎপাদনে এ বার রেকর্ড গড়তে চলেছে রাজ্য। উদ্যানপালন দপ্তর জানিয়েছে, আনুমানিক ৭ লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। এর ফলে রাজ্যজুড়ে কমতে পারে পেঁয়াজের দাম।
জানা গিয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে এবং পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এতদিন শুধুমাত্র বেসরকারি উদ্যোগে হিমঘর তৈরির জন্য ভর্তুকি দেওয়া হত। কিন্তু এ বার রাজ্যজুড়ে সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ পাশাপাশি এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে।
Advertisement
ইতিমধ্যেই রাজ্যে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় এখনও আমদানি করা পেঁয়াজই বেশি বিকোচ্ছে। ফলে খুচরো বাজারে দাম এখনও তুলনামূলকভাবে বেশি ৷ রাজ্যের উৎপাদিত পেঁয়াজ বেশি পরিমাণে বাজারে ঢুকতে শুরু করলে দামও ধীরে ধীরে কমবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে।
Advertisement
উল্লেখ্য, নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের উপস্থিতিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক থেকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে হিমঘরগুলিকে প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই হিমঘরগুলিতেই চাষিরা উৎপাদিত পেঁয়াজ মজুত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ছোটো ও মাঝারি চাষিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ও কালনা, মুর্শিদাবাদের নওয়াদা ও সাগরদিঘি, হুগলির বলাগড় ও আদিসপ্তগ্রাম, মালদার গাজোল ও নদিয়ার হাঁসখালিতে মোট আটটি বড় হিমঘর তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি ধারণক্ষমতা ৪০ টন। ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই হিমঘরগুলি চালু হয়ে যাবে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে ৯১৭টি ছোটো হিমঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটির ধারণক্ষমতা ৯ টন।
সরকারের এই উদ্যোগের ফলে পেঁয়াজ চাষিদের আয় বাড়বে। তাঁরা উৎপাদিত পেঁয়াজ দীর্ঘদিন হিমঘরগুলিতে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে সাধারণ মানুষেরও অনেকটা সুরাহা হবে। বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।
Advertisement



