সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি আইএসএফের সমর্থক। তবে আইএসএফের দাবি, আইএসএফকে বদনাম করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের দলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা-মা কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় ন্যাজাট থানার আগারআটি গ্রামে মামার বাড়িতে থাকত ওই নাবালিকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার এলাকারই একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করছিলেন তারই বান্ধবীর বাবা। গ্রামের কয়েক জন মহিলা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় নাবালিকার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করেন। সেই সময় পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
এর পর স্থানীয়রাই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি আগেও বেশ কয়েক বার এই রকম ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু প্রতি বারই নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হত। ন্যাজাট থানার ওসি ভরত প্রসূন পুরকাইত বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তদন্তে নেমেছি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তের ছবি এবং নাম বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে দাবি করেছেন, অভিযুক্ত আইএসএফ ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সিরিয়া পারভিন বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি। দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ আইএসএফের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুগ্ম সম্পাদক মুসা করিমের পাল্টা দাবি, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোনও কর্মী বা সমর্থকের যোগ নেই। সন্দেশখালিতে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তাই আইএসএফকে বদনাম করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের দলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।’
এদিকে রবিবার দুপুরে বারাসতের ১২ নম্বর রেলগেটের কাছে জনবহুল এলাকায় এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। নিগৃহীত ছাত্রীর অভিযোগ, টিউশন পড়ে বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এমন সময়ে অপরিচিত এক যুবক তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক বসিরহাটের বাসিন্দা। তার নাম রাজু শেখ।