• facebook
  • twitter
Monday, 15 December, 2025

গোয়ালপোখর কাণ্ড: পুলিশের গুলিতে নিহত সাজ্জাক

গত বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ যাওয়ার পথে আসামির গুলিতে জখম হয়েছিলেন দুই পুলিশকর্মী নীলকান্ত সরকার এবং দেবেন বৈশ্য।

প্রতীকী চিত্র।

গত বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ যাওয়ার পথে আসামির গুলিতে জখম হয়েছিলেন দুই পুলিশকর্মী নীলকান্ত সরকার এবং দেবেন বৈশ্য। তারপর থেকেই পলাতক ছিল মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক। সেই ঘটনার চার দিনের মাথায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল বন্দুকবাজ আসামির।

পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়ালপোখর থানার সাহাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল আসামি সাজ্জাক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোর রাতে যখন সীমান্ত এলাকায় হানা দেয় পুলিশ, তখন ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সাজ্জাক। যার উত্তরে পুলিশ ‘এনকাউন্টার’ করতে বাধ্য হয়। গুলি লাগে সাজ্জাকের গায়ে। জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাজাককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, খুনের মামলার আসামি ছিল এই সাজ্জাক। মামলার শুনানির জন্য গত বুধবার তাকে রায়গঞ্জ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুর আদালতে। তবে আদালত থেকে ফেরত আসার পথে শৌচকর্ম করার অনুরোধ জানায় নিহত সাজ্জাক। তার অনুরোধে গাড়ি থামিয়ে শৌচকর্ম সেরে ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। দুই পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাজ্জাক।

Advertisement

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আদালত চত্বরেই হাতবদল হয়েছিল বন্দুকের। যার নেপথ্যে উঠে এসেছে আবদুল হুসেন নামে আরও একজনের নাম। দু’জনকে ধরে দিলে আর্থিক সাহায্যেরও ঘোষণা করা হয় পুলিশের তরফ থেকে। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও।

অন্যদিকে, হাসপাতালে আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, এর জবাব দেবে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা যদি পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি গুলি চালায়, তা হলে পুলিশ চারটি গুলি চালাবে।’ এর পর উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ডিজি।

পাশাপাশি শনিবার পুলিশের ‘এনকাউন্টা’রের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভবানীভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ সামিম। তিনি বলেন, ‘সাজ্জাক আলমকে থামতে বলা হয়েছিল। পুলিশ দেখেই সে গুলি চালাতে শুরু করে। তিন-চার রাউন্ড গুলি চালায়। বাধ্য হয়ে পুলিশও গুলি চালিয়েছিল।’

Advertisement