শীতের মরশুমে রীতিমতো বন দপ্তরকে নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছে সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের বাঘিনি জিনত। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ভ্রমণের পর এবার সটান বাঁকুড়ায় হাজির হয়েছে জিনত। বন দপ্তরের একটি সূত্রের দাবি, শনিবার সকালে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পার ধরে এগিয়েছে জিনত। আপাতত মুকুটমণিপুর জলাধারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সে। কয়েক দিনের চেষ্টাতেও বনকর্মীরা বাগে আনতে পারেনি জিনতকে। বন দপ্তরের টোপেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাঘিনিকে সুস্থভাবে সিমলিপালের জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করেই বাঘিনির গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু শ্যাডো জোন হওয়ায় কিছু সময়ের জন্য বাঘিনির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বন দপ্তরের আধিকারিকদের। প্রতিনিয়ত আধিকারিকরা জিনতকে অনুসরণ করছেন বনকর্মীরা। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরাও জিনতকে খুঁজতে ময়দানে নেমে পড়েছে। মোট ৬টি রেডিও কলার ট্র্যাকিং অ্যান্টেনা ব্যবহার করে তাঁকে খোঁজা হচ্ছে।
Advertisement
ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে বেরিয়ে প্রথমে বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ঢোকে জিনত। তারপরই বাংলার পুরুলিয়া জেলায় প্রবেশ করে বাঘিনি। এরপর পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার ঘোরে বাঘিনি। দু’একবার তার কাছাকাছি পৌঁছলেও নাগাল পাওয়া যায়নি জিনতের। পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ ডিভিশনের বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) পূরবী মাহাতো বলেন, পুরুলিয়ার গোপালপুর মানবাজার এলাকায় জিনতের অবস্থান মিলেছে। তবে পাশেই রয়েছে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার। বাঘিনিকে ‘ট্র্যাপ’-এ আনতে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Advertisement
Advertisement



