• facebook
  • twitter
Monday, 4 August, 2025

আন্দোলনরত ১৭ শিক্ষককে থানায় তলব

সকাল থেকে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভে বিকাশ ভবনের সামনে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মোট সাত দফা দাবিতে শুরু হয় এই ঘেরাও কর্মসূচি।

বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ।

সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান-সহ একাধিক অভিযোগে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৭ জন শিক্ষককে নোটিশ পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁদের ২১ মে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে জানানো হয়েছে, ২১ মে অভিযুক্তরা থানায় হাজিরা না দিলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)–র ৩৫(৬) ধারায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরিহারাদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এ বার চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান করেছেন। তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। আগামী বুধবার সকাল ১১টায় শিক্ষকদের থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিক্ষোভে বিকাশ ভবনের সামনে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মোট সাত দফা দাবিতে শুরু হয় এই ঘেরাও কর্মসূচি। সসম্মানে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সহ আরও একাধিক দাবিতে চলতে থাকে বিক্ষোভ। শিক্ষকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁরা নতুন করে কোনও পরীক্ষায় বসবেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার সমাধান করতে চান তাঁরা। ততক্ষণ পর্যন্ত বিকাশ ভবনের বাইরেই তাঁদের অবস্থান চলবে। রাতের দিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে লাঠিচার্জের ব্যাখ্যা দেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। সুপ্রতিম জানিয়েছেন, পুলিশ প্রথম থেকে সংযত ছিল। তাঁরা অনেক ধৈর্য ধরেছিল। সাত ঘণ্টা পুলিশ আন্দোলনকারীদের কিছু বলেনি। সবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তবে বিকাশ ভবনের সামনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছিল। সেই কারণে বাধ্য হয়ে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে হয়।