মায়ের শরীরের ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে এই ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুর যত্নে গাফিলতি হলে তা মায়ের মনকে প্রভাবিত করে। এর পাশাপাশি মানসিক সমস্যার অন্যতম বড় কারণ – পরিবারের সহযোগিতার অভাব, প্রিয়জনদের ভালোবাসা না পাওয়া। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা, বাল্যবিবাহ, স্বামীর দ্বারা শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন ও দাম্পত্য কলহের মতো কারণে এই জাতীয় সমস্যায় পড়তে হয় মাকে।
মানসিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন মা অনুভূতিগুলোকে নিজের মধ্যে না রেখে বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটাতে হবে। এক্ষেত্রে সন্তানের বাবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এছাড়া মায়েদের নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজের যত্ন নিতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি সারাদিন ভাগ ভাগ করে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
Advertisement
প্রসবের পর অনেক মা সাইকোসিসে ভোগেন। প্রতি হাজারে দু’জন এই জাতীয় সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে বিভ্রান্তি, সন্দেহপ্রবণতা, শিশুর বিষয়ে অবসেশন, হ্যালুসিনেশন, ডিলিউশন, নিজের বা সন্তানের ক্ষতি এমনকি মেরে ফেলার মতো কাজ করারও প্রবণতা হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই মা সুস্থ হয়ে যান। তবে অবশ্যই মাকে মনোরোগ ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞে তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
Advertisement
Advertisement



