হিং ভারতীয় খাবারে দারুণ স্বাদ যোগ করে এবং প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই শক্তিশালী-গন্ধযুক্ত মশলাটি ফেরুলা গাছের রজন থেকে উদ্ভূত হয়। এর তীব্র গন্ধ সহজেই খাবারের স্বাদ পরিবর্তন করতে সক্ষম।
যদিও বিশ্বজুড়ে অনেক রান্নায় হিং ব্যবহার করা হয়- ভারতীয় রান্নায়, বিশেষ করে নিরামিষ খাবারে এর একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। হিং কিন্তু পরিপাকে সহায়ক হিসাবে কাজ করে। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে হিং অন্তর্ভুক্ত করলে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কিন্তু তা অনেক উপকার নিয়ে আসতে পারে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এবং পাচনে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের জন্যই জনপ্রিয়। হিং বিভিন্ন রোগের জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকারও বটে।
হিং ব্লোটিংয়ের সমস্যা, গ্যাস এবং বদহজম কমাতেও সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। যে-কারণে এটি প্রায়শই ডাল, মটরশুটির কচুরি প্রভৃতিতে যোগ করা হয়, যে-উপকরণগুলি পেট ফাঁপার কারণ হিসাবে পরিচিত।
ভারতে হিং-এর জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি হল পতঞ্জলি বন্ধনি হিং। পতঞ্জলি বন্ধনি হিং একটি শক্তিশালী সুগন্ধযুক্ত, অপরিশোধিত রঞ্জক, যা পরিশোধিত জাতের চেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং আরও শক্তিশালী। এর প্রাকৃতিক গুণ বজায় রাখার জন্য এটি যত্ন সহকারে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
আপনি বিভিন্ন খাবারে যেমন সাধারণ ডাল, তরকারি বা চাটনিতে এটি যোগ করতে পারেন। রান্নার শুরুতে হিং, গরম তেল বা ঘি-তে যোগ করুন- এর অনন্য সুগন্ধে রান্নার সুঘ্রাণ বহুগুনে বেড়ে যাবে। টেম্পারিংয়ের এই পদ্ধতিটি নিশ্চিত করে যে, হিংয়ের স্বাদ-গন্ধ সমস্ত খাবার জুড়ে সমানভাবে ছড়িয়ে গেছে। যাঁরা স্বাদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান, তাঁরা স্যুপ, স্যালাড এমনকী নির্দিষ্ট কিছু মিষ্টিতেও হিং যোগ করতে পারেন। অন্যান্য ভেষজ উপাদানের প্রাচুর্যের মধ্যেও, এর পরিপাকে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা, হিংকে যে-কোনও খাবারে একটি দুর্দান্ত সংযোজন করে তোলে।
এই ভেষজটির অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সঠিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে এটি খেলে, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণগুলিকে হ্রাস করতে সহায়তা করবে। এটি প্রদাহজনক অবস্থার উপশম করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।