ধানবাদ, ২৪ জুন– তুঘলকি ফরমানের উদাহরণ পাওয়া গেল ধানবাদে। যার জেরে মানসিক বিপর্যস্ত রেলের এক কর্মী।ডিআরএমের স্ত্রীকে জুতো খুলতে বলার শাস্তি হিসেবে অর্ধনগ্ন করে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল সেই কর্মীকে।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলের ওই হাসপাতালের কর্মীর নাম বসন্ত উপাধ্যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে রুটিন চেক-আপের জন্য এসেছিলেন ধানবাদের ডিভিশনাল রেল ম্যানেজারের (ডিআরএম) স্ত্রী। তিনি জুতো পায়ে চিকিৎসকের চেম্বারে যাচ্ছিলেন। তাঁকে বাধা দেন বসন্ত। জানান, ডাক্তারবাবুর বারণ রয়েছে। জুতো খুলে চেম্বারে যেতে হবে। অভিযোগ, কর্মীর নিষেধ না শুনে জুতো পরেই ডাক্তারবাবুর চেম্বারে ঢোকেন ডিআরএমের স্ত্রী। এর পর বিকেলে বসন্তের খোঁজ নেন ডিআরএম। হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্টকে ডিআরএম জানান, ওই কর্মীকে নিয়ে তাঁর কাছে যেতে।
Advertisement
অভিযোগ, ডিআরএমের চেম্বারে গেলে হাসপাতালের ওই কর্মীকে বেদম বকুনি দেওয়া হয়। বসন্ত বলতে চান, তিনি শুধু নির্দেশ পালন করেছিলেন। এতে নাকি আরও রেগে যান ওই ডিআরএম। ওই কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয় পরনের জামাকাপড় খুলে ফেলতে হবে। এর পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। শুক্রবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে।
Advertisement
সহকর্মীরা জানান, ওই ঘটনার পরে মানসিক ভাবে এতটাই আঘাত পেয়েছেন বসন্ত, যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।
অন্য দিকে, অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অভিযুক্ত ডিআরএম অমরীশ কুমারের দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বলে দাবি করেছেন রেলের ডিসিএম । তাঁর কথায়, ‘আমাদের এক গ্রুপ ডি কর্মী দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মহিলা কল্যাণ সংগঠনের সভাপতির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ জন্য ডিআরএম ওই কর্মীকে ডেকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাড়ি পাঠানো হয় বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।’
Advertisement



