মিসৌরি, ১ অক্টোবর– জন্মের পর তাকে দেখে চমকে উঠেছিলেন ডাক্তারই। জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ ছেলে বেশিদিন বাঁচবে না। অমন অদ্ভুত দর্শন ‘দু-মুখো’ সন্তানকে দেখে মা-বাবাও আশাহত হলেও হাল ছাড়েননি। আর সেই আশাই ১৮ বছরে প্রমাণিত হল। ধুমধাম করে ১৮ বছরের জন্মদিন পালন করতে পারলেন ‘দু-মুখো’ ট্রেস জনসন ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে পরিবারের সঙ্গে থাকেন জনসন। তিনি ‘সনিক হেগহগ’ নামে এক জিন ঘটিত রোগে আক্রান্ত। তাই জন্মের সময়ই তাঁর মুখ যেন দুভাগে ভাগ হয়ে যায়।
Advertisement
জন্মের সময় জনসনের নাসারন্ধ্রও দু’ভাগে বিভক্ত ছিল। মাথার খুলি দেখলে মনে হতো একে অপরের প্রতিবিম্ব যেন! নাসিকা গহ্বরে বিশাল ক্ষত ছিল, যা জনসনের সাইনাসের বাইরে বের করে এনেছিল! দিনে প্রায় ৪০০ বার খিঁচুনি হতো!
Advertisement
সদ্যোজাত ছেলের এত প্রতিবন্ধকতা দেখেও ভেঙে পড়েননি ব্র্যান্ডি জনসন। ৪০ বছর বয়সি এই মহিলাই ট্রেস জনসনের মা। তিনি জানিয়েছেন, “ডাক্তাররা ওর জন্মের পরই আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিই। তার ফল কী সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।” কী করে চিকিৎসকদের কথা ভুল প্রমাণ করে ট্রেস জনসন ১৮ টা বসন্ত পার করে ফেললেন তা নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর মা জানান, ওষুধে দুর্দান্ত কাজ হয়েছে। সেইসঙ্গে গাঁজার তেল ধীরে ধীরে শরীরের খিঁচুনি অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। এখন বড়জোর দিনে ৪০ টা খিঁচুনি হয়!
Advertisement



