ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেল সবরবাহ ব্যাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলার জেরে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ পরিবহন করা হয়। এই টানাপোড়েনের কারণেই তেলের দাম ২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। জানুয়ারি মাসের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দাম বেড়েছে। তেলের ফিউচারের দাম ২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এতেই যুদ্ধবিধ্বস্ত তেল সমৃদ্ধ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে জ্বালানি তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৫.৯৮ ডলার।
Advertisement
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট তেলের দাম ২.৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৯.১২ ডলার। বিশ্লেষকেদের মতে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে নতুন মাত্রা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ করার প্রতিক্রিয়ায় বাজারে উদ্বেগ বাড়ছে। এর প্রভাব সরাসরি এসে পড়ছে জ্বালানি এবং বিনিয়োগ খাতে।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত অবিলম্বে বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অশোধিত জ্বালানি তেলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা, ইরান রোজ ২ কোটি ব্যারেল তেলের জোগান স্তব্ধ করতে পারে। এর ফলে হুড়মুড়িয়ে দাম বাড়তে পারে অশোধিত জ্বালানি তেলের।
Advertisement



