কাবুল, ৩০ অগাস্ট — গত ৩১ জুলাই মার্কিন বোমায় নিহত হয় আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জওয়াহিরি। ওই জঙ্গিনেতাকে হত্যা করতে আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনার জওয়ানরা পা দেননি। আর এখানেই চোটে লাল তালিবান। আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকদের ধারণা পাকিস্তানের আকাশ বা মাটি ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে মার্কিন ফৌজ?
আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাতের পথে হাঁটছে পাকিস্তান ও তালিবান। পাকিস্তানি আকাশ ব্যবহার করেই হামলা চালায় মার্কিন ড্রোনগুলি। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
Advertisement
বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কে যে ফাটল তৈরি হয়েছে তা জোড়া লাগাতে তৎপর পাক সেনা। তাছাড়া, আর্থিক বিপর্যয় সামাল দিতে অন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে বড় মাপের প্যাকেজ চাইছে ইসলামাবাদ। কিন্তু আমেরিকার মদত ছাড়া তা সম্ভব নয়। তাই জওয়াহিরির গোপন তথ্য মার্কিন ফৌজকে দিয়ে থাকতে পারে আইএসআই। একই সন্দেহ করছে তালিবানও।
Advertisement
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব বলে, “আফগানিস্তানের আকাশসীমায় অবৈধ ভাবে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো দেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করার শামিল।” ইয়াকুবের স্পষ্ট অভিযোগ, পাকিস্তানের বায়ুসীমা ব্যবহার করে আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে ড্রোনগুলি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ তথা পাক তালিবান ও ইসলামাবাদের মধ্যে লড়াই থামাতে মধ্যস্থতা করছে আফগান তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে তালিব নেতৃত্ব পাকিস্তানের উপর অসন্তুষ্ট হলে ফল ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
Advertisement



