‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আগে ডেরেকের শাস্তি প্রত্যাহার চেয়ে ধনখড়কে চিঠি কংগ্রেসের খাড়গের

Written by Sunita Das December 18, 2023 5:20 pm

দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর– মঙ্গলবার রাজধানীতে ফের বসছে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠক৷ তার একদিন আগে সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের শাস্তি প্রত্যাহার চেয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ যিনি আবার বর্তমানে এআইসিসির সভাপতিও বটে৷ ধনখড়কে পাঠানো চিঠিতে সংসদে হানার ঘটনার কথা উল্লেখ করে ডেরেকের তোলা দাবিকে যুক্তিযুক্ত বলেছেন খাড়গে৷ শুধু ডেরেককে সমর্থনই নয়, চলতি অধিবেশনে বেশ কয়েক বার পরস্পরের পাশে দাঁডি়য়েই নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস-তৃণমূল৷ ঘটনাচক্রে, রবিবার রাতেই কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর সোমবার সকালের এই ঘটনাকে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস-তৃণমূলের ফের কাছাকাছি আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশ৷
গত সপ্তাহে বুধবার সংসদে জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তিতে নতুন সংসদ ভবনে রং বোমা হাতে হানা দেয় কয়েক জন যুবক-যুবতী৷ সেই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে সংসদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলের সাংসদেরা৷ বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক-সহ অন্য দলের সাংসদেরা৷ তিনি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালে তাঁকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়৷ ডেরেকর সঙ্গেই সাসপেন্ড হয়েছিলেন আরও ১৪ জন সাংসদ৷ সাসপেন্ড হওয়ার পর শুক্রবার ডেরেক সংসদ চত্বরে ধর্না দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তখন তাঁকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল৷ এই ইসু্যতে যে কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলের পাশেই থাকবে, সেই বিষয়ে ইঙ্গিত মিলেছিল বেনুগোপালের উপস্থিতিতে৷ কারণ, এআইসিসির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেনুগোপাল বরাবরই রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ তাই শুক্রবারে বেনুগোপালের উপস্থিতি এবং সোমবার এআইসিসির সভাপতির সরাসরি ডেরেকের পক্ষ নিয়ে ধনখড়কে চিঠি দেওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কে নতুন করে জোটের সমীকরণের চিত্রই ধরা পডে়ছে বলে মনে করছে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশ৷
শুধু তা-ই নয়, মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের সময়ও কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী সরাসরি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁডি়য়েছিলেন৷ আবার সাংসদপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রাহুল-সনিয়া গান্ধি-সহ গোটা কংগ্রেস সংসদীয় দল মহুয়ার পাশে দাঁডি়য়েছিলেন৷