অনিল আম্বানির জন্য নরেন্দ্র মোদি মধ্যস্থতা করেন : সুরজেওয়ালা

ফ্রান্সের যুদ্ধ বিমান লেনদেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি মধ্যস্থতা করেছেন অনিল আম্বানির বরাত পেতে বলে অভিযােগ কংগ্রেসের।

Written by SNS April 14, 2019 11:01 am

রনদীপ সুর্যেওয়ালা (Photo-IANS)

দিল্লি – ফ্রান্সের যুদ্ধ বিমান লেনদেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি মধ্যস্থতা করেছেন অনিল আম্বানির বরাত পেতে বলে অভিযােগ কংগ্রেসের। শনিবার কংগ্রেস দলের পক্ষে ফ্রান্সের লে মন্ডে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে জানিয়েছে, সেদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনিল আম্বানির ‘রিলায়েন্স আটলান্টিক ফ্ল্যাগ ফ্রান্স’ সংস্থার জন্য ১৪৩.৭ মিলিয়ন ইউরাে কর ছাড় দিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ফ্রান্সের সাস্ট এভিয়েশনের সঙ্গে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধ বিমান কেনার চুক্তি সম্পাদন করার কয়েক মাস পরই এই কর ছাড় ঘােষণা করা হয়। ‘নরেন্দ্র মােদি মধ্যস্থতা করেছেন অনিল আম্বানির সংস্থার জন্য। অন্যান্য কতগুলি কোম্পানি ফ্রান্সে এমন কর ছাড়ের সুবিধা পায়? এটা কি বিমান কেনার চুক্তির জন্য সুবিধা নয়? এটা স্পষ্ট এক চৌকিদারই চোর’- রণদীপ সুর্যেওয়ালা অভিযােগ করেছেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারত সরকারের রাফায়েল যুদ্ধ বিমান কেনার সঙ্গে আম্বানির সংস্থার কর ছাড়ের কোনও সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়েছে। সুর্যেওয়ালা অভিযােগ করেছেন, অনিল আম্বানি ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে। সে সময় পর্যন্ত হ্যালের সঙ্গে ১২৮ টি রাফায়েল বিমান নির্মাণের চুক্তি ছিল। ১০ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি পুরনাে রাফায়েল চুক্তি বাতিল করে নতুন ৭.৮ বিলিয়ন ইউরাে মূল্যে চুক্তি করেন।

মােদির নতুন রাফায়েল কেনা চুক্তি ঘােষণা করার পরই ফ্রান্স অনিল আম্বানির বকেয়া ১৪৩.৭ মিলিয়ন ইউরাে কর ছাড়ের কথা ঘােষণা করে। ২০০৭-২০১০ সালে ফ্রান্স রিলায়েন্স ফ্ল্যাগ আটলান্টিক ফ্রান্স সংস্থার ৬০ মিলিয়ন ইউরাে এবং পরে ২০১০-১২ সাল পর্যন্ত ৫১ মিলিয়ন ইউরাে বকেয়া কর আদায় হওয়া বাকি ছিল। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে নরেন্দ্র মােদি অনিল আম্বানির সংশ্লিষ্ট সংস্থার উদ্ধারে এগিয়ে আসেন বলে ফ্রাঙ্কোইস হলান্ডে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এরপরই অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপ ‘প্রধান অংশীদার হিসেবে ডাসন্ট এভিয়েশনের সঙ্গে লেনদেন চুক্তি সম্পাদন করে। এজন্য মােট চুক্তি বহির্ভূত লেনদেন হয় ত্রিশ হাজার কোটি টাকার মতাে। কিন্তু পরবর্তীতে অনিল আম্বানির গ্রপ সংস্থা এই চুক্তির বিষয়ে তাদের যুক্ত থাকার ঘটনা অস্বীকার করে। প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে ফ্রান্সে অনিল আম্বানি গ্রুপের সংস্থাগুলি সে দেশের সরকারের অনুগ্রহ লাভ করে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমান চুক্তির পরই।

সুর্যেওয়ালা আরও অভিযােগ করেন, ২০১৭-১৮ ডাসাল্ট এভিয়েশন সে দেশে রিলায়েন্স এয়ারপাের্ট ডেভেলপারস লি. এর অ্যাকাউন্টে ২৮৪ কোটি টাকা জমা করে। এই অর্থ অনিল আম্বানির বন্ধ থাকা সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ভারত সরকার যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি অনুযায়ী অগ্রিম হিসেবে অর্থ জমা দেওয়ার পরই ।