• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই জিংপিংকে ‘স্বৈরাচারি’ অ্যাখ্যা জো বাইডেনের

ওয়াশিংটন, ১৬ নভেম্বর– বিফলেই গেল চিনা প্রেসিডেন্টের মার্কিন সফর৷ কারণ চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার বৈঠকের পরই তাঁকে ‘স্বৈরাচারি’ আখ্যা দিয়ে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ জিংপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বাইডেন বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমাদের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে গঠনমূলক এহং ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে৷ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা এগিয়েছি৷ কিন্তু আমি আবার তাঁকে

ওয়াশিংটন, ১৬ নভেম্বর– বিফলেই গেল চিনা প্রেসিডেন্টের মার্কিন সফর৷ কারণ চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার বৈঠকের পরই তাঁকে ‘স্বৈরাচারি’ আখ্যা দিয়ে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ জিংপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বাইডেন বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমাদের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে গঠনমূলক এহং ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে৷ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা এগিয়েছি৷ কিন্তু আমি আবার তাঁকে স্বৈরাচারি বলতেও বাধ্য হচ্ছি৷’
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ইসু্যতে চিন ও আমেরিকার মধ্য দ্বন্দ্ব বেডে়ছে৷ দুই দেশের সম্পর্কে যে চোরাস্রোত বইছে তা প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছেন দুই দেশের প্রেসিডেন্টই৷ এ জন্য আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো থেকে ২৫ মাইল দূরে ফিলোলি এস্টেটে বৈঠক করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ সেই বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে বলেও জানিয়েছে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক৷ কিন্ত্ত এই বৈঠকের এক দিন পরই চিনা প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ বাইডেন জিনপিংকে একনায়ক বা ডিক্টেটর হিসাবে অভিহিত করেছেন৷ এই মন্তব্য চিন-আমেরিকার সম্পর্কের মেরামতির চেষ্টাকে ভেস্তে দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার৷
অতীতেও জিনপিংকে একনায়ক হিসাবে আক্রমণ করেছিলেন বাইডেন৷ বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, “তিনি এক জন একনায়ক যিনি কমিউনিস্ট দেশ পরিচালনা করেন৷ সে দেশের সরকার পরিচালনা আমাদের দেশের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা৷”
এর পাশাপাশি চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে সহমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন৷ এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি আমাদের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে গঠনমূলক এহং ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে৷ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা এগিয়েছি৷” বেশ কিছু বিষয়ে চিনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এর পাশাপাশি দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধান প্রয়োজনে ফোনে বাক্যালাপের বিষয়েও রাজি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
দুই দেশের সম্পর্ক ছাড়াও বিশ্বের একাধিক ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে বাইডেন ও জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে মধ্য প্রাচ্যের সমস্যা, ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান, অর্থনৈতিক বিষয়, মাদক কারবারি বন্ধ এবং পরিবেশ পরিবর্তনের মতো একাধিক বিষয়৷ এর পাশাপাশি আমেরিকায় মাদক সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা সংস্থাকে টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথাও চিনকে জানিয়েছেন বাইডেন৷