• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

সন্তান চাইছেন না ভারতীয় মহিলারা, বলছে সমীক্ষা  

দিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর– আর নাকি কয়েক বছর তারপরই জনসখ্যায় চিনকেও নাকি ছাপিয়ে যাবে ভারত। তাই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের। তবে সেই চিন্তা এবার বোধয় কিছুটা কমল এই সমীক্ষার প্রকাশিত ফলে। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গত এক দশকে ভারতীয়দের মধ্যে সার্বিক প্রজননের হার বা জেনারেল ফার্টিলিটি রেট ২০ শতাংশ

দিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর– আর নাকি কয়েক বছর তারপরই জনসখ্যায় চিনকেও নাকি ছাপিয়ে যাবে ভারত। তাই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের। তবে সেই চিন্তা এবার বোধয় কিছুটা কমল এই সমীক্ষার প্রকাশিত ফলে। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গত এক দশকে ভারতীয়দের মধ্যে সার্বিক প্রজননের হার বা জেনারেল ফার্টিলিটি রেট ২০ শতাংশ কমেছে।

জিএফআর হল ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি প্রতি ১০০০ জন মহিলা পিছু সন্তান উৎপাদনের হার। সোজা কথায় এর মাধ্যমে জানা সম্ভব, ঠিক কী পরিমাণ সন্তান উৎপাদন করছেন দেশের মহিলারা। যা থেকে অনুমান করা সম্ভব ভবিষ্যতে ভারতের জনসংখ্যা কোথায় পৌঁছতে পারে। ফলে এই সমীক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন বিশেষজ্ঞরা। হিসেব বলছে ২০০৮ থেকে ২০১০— এই তিন বছরে সময়পর্বে ভারতের জিএফআর ছিল ৮৬.১ শতাংশ। পরবর্তী পর্যায়ে ২০১৮-২০ সালের মধ্যে সেই হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। কমে দাঁড়িয়েছে ৬৮.৭ শতাংশ।

শিক্ষিতের হার শহরে বেশি। কর্মব্যস্ততাও গ্রামের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বয়স বাড়লেও চট করে বিয়ের কথা ভাবেন না শহরের বাসিন্দারা। বিষয়টা ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে শহরে জিএফআর কমেছে ১৫.৬ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামগুলির সমাজচিত্রও যে বদলাচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে সমীক্ষায়। শহরকে ছাপিয়ে সার্বিক সন্তান উৎপাদনের হার গ্রামে কমেছে ২০.২ শতাংশ। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, রাজ্যগুলির মধ্যে জিএফআর সবচেয়ে কমেছে জন্মু-কাশ্মীরে (২৯.২)। তার পর রয়েছে যথাক্রমে দিল্লি (২৮.৫), উত্তর প্রদেশ (২৪), ঝাড়খণ্ড (২৪) এবং রাজস্থান (২৩.২)।

Advertisement

Advertisement

Advertisement