দেরাদুন, ১৭ জুলাই-– গত কয়েকদিনে ভয়ঙ্কর অবস্থা দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ সহ উত্তর ভারতের। অতিবৃষ্টির জেরে জলে নাভিঃশ্বাস উঠেছে রাজ্যগুলির। যদিও বর্তমানে কিছুটা স্বস্তিতে দিল্লি। কিন্তু এবার বানভাসি উত্তরাখণ্ড। তুমুল বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্যের অন্তত ১৩টি জেলা। অতিবৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বেড়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গঙ্গার জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। উপকূলবর্তী শহরগুলোতে জল ঢুকছে হু হু করে। আগামী কয়েকদিনও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দেবপ্রয়াগে গঙ্গা নদী বিপদসীমা পার করেছে। হরিদ্বারেও গঙ্গার জল বিপদসীমা ছুঁইছুঁই।
Advertisement
অলকানন্দা নদীর উপরে তৈরি বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে জলস্তর বেড়ে গেছে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচদিন উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
Advertisement
অতিবৃষ্টি ও ধসের কারণে আবার বন্ধ রাখা হয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ছিঁকাও এলাকায় সাত নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। ক’দিন আগেও ধসের কারণে বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।কিন্তু আবার ধসের কারণে থমকে গেল গাড়ি চলাচল।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড উত্তরাখণ্ড। বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৪২টি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ২৮৪ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)। রবিবারও উত্তরাখণ্ডে পরপর বিভিন্ন এলাকায় ধস নামে। ধরচুলার কাছে বলওয়াকত-ধরচুলা রাস্তা ধসের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। একই কারণে কিছুদিন আগে যমুনোত্রী মহাসড়কও (১২৩ নম্বর) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বৃষ্টি ও ধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাট ভোগাচ্ছে, পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে।
Advertisement



