পরিচালক শেখর কাপূরের হাত ধরে ভারতীয় ঘরানায় হ্যারি পটার  

Written by SNS April 3, 2023 7:36 pm

মুম্বাই, ৩ এপ্রিল –  জে কে রাউলিংয়ের হ্যারি পটার এবার ভারতীয় হতে চলেছে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক শেখর কাপূরের হাত ধরে এবার ভারতীয় ঘরানায় তার দলবলকে নিয়ে নানারকম অলৌকিক কান্ডকারখানা দেখাবে দেশি হ্যারি। সম্প্রতি  সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই জানালেন পরিচালক।

হ্যারি , রন ও হারমাইন-   তিনমূর্তির হাত ধরে জাদুর দুনিয়ার বিস্ময়কর সব চমক দেখেছেন বিশ্ববাসী।  এ বার ভারতে তৈরি হতে চলেছে তার নিজস্ব জগৎ। এই গোটা কাজের দায়িত্বে বর্ষীয়ান পরিচালক শেখর কাপূর।

১৯৯৭ সালের জুন মাসে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে হ্যারি পটার বই, ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোজ়ফার্স স্টোন’। লেখিকা জোয়্যান ক্যাথলিন রাউলিং ওরফে জেকে রাউলিং। বই প্রকাশ্যে আসার পরেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে হ্যারি।  হ্যারি পটারের হাত ধরেই জাদুর দুনিয়ার পা রাখেন লক্ষ লক্ষ অনুরাগী। প্রথম খণ্ডের জনপ্রিয়তার জেরে পরের বছরই প্রকাশিত হয় ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস্‌’। তার পরের বছর ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজ়নর অফ অ্যাজ়ক্যাবান’। হ্যারি পটার, রন উইজ়লি ও হারমাইনি গ্রেঞ্জার— এই তিন বন্ধুর সঙ্গে জাদুর দুনিয়ার নিজেদের খুঁজে পান অসংখ্য অনুরাগী। বইয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়তে থাকায় ছবি তৈরি সিদ্ধান্ত নেয় প্রযোজনা সংস্থা ও স্টুডিও ‘ওয়ার্নার ব্রোজ়’। ২০০১ সালে মুক্তি পায় হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্জাইজ়ির প্রথম ছবি ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোজ়ফার্স স্টোন’। এরপর আর পিছু ফেরা নয়,  এক দশক ধরে দর্শক ও অনুরাগীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে জেকে রাউলিংয়ের এই অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। এ বার সেই ধাঁচেই ভারতীয় হ্যারি পটার তৈরির ভাবনা পরিচালকের।  ছবি তৈরির কাজও  শুরু করে দিয়েছেন পরিচালক।

এক সাক্ষাৎকারে শেখর কপূর বলেন, ‘‘এই দেশের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হবে ওই প্রজেক্ট। হ্যারি পটারের ধাঁচেই আমি এটা তৈরি করতে চাই কারণ, ভারতীয়রা জাদু ও রূপকথা নিয়ে খুব আগ্রহী। আমরা ওই ধরনের গল্প শুনে ও পড়ে বড় হয়েছি। আমি এমন একটা কিছু বানাতে চাই, যার সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে ভারতীয় রূপকথার, পশ্চিমি দুনিয়ার নয়।
শেখর কপূরের শেষ ছবি ছিল রোম্যান্টিক কমেডি ‘হোয়াটস্‌ লভ গট টু ডু উইথ ইট’। শাবানা আজ়মি, এমা থম্পসন, লিলি জেমসের মতো তারকারা অভিনয় করেন ওই ছবিতে। টরোন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হওয়া এই ছবি সেরার শিরোপা অর্জন করেছিল রোম ফিল্ম ফেস্টিভালে।