আদালতের রায়ে দেশে উৎসবের পরিবেশ : রাহুল

দেশের সর্বোচ্চ আদালত বুধবার জানিয়েছে, ডিসেম্বরে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান লেনদেন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কেলেঙ্কারি মুক্ত বলে যে রায় দিয়েছিল তার পর্যালােচনার আবেদন খতিয়ে দেখা হবে।

Written by SNS April 11, 2019 4:48 pm

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS/AICC)

দিল্লি – দেশের সর্বোচ্চ আদালত বুধবার জানিয়েছে, ডিসেম্বরে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান লেনদেন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কেলেঙ্কারি মুক্ত বলে যে রায় দিয়েছিল তার পর্যালােচনার আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এদিনের বক্তব্য দেশের মানুষের কাছে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি।

সর্বোচ্চ আদালত এদিন কেন্দ্রের বয়ান বাতিল করে দেয়। সংবাদ মাধ্যমের দাখিল করা নথিকেই প্রমাণ হিসেবে গণ্য করে আদালতের সরকারের অনুকূলে দেওয়া পূর্বের রায়কে পর্যালােচনার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, গােপন নথিকেই রাফায়েল মামলার পর্যালােচনার ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হবে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি এদিনের আদালতের নির্দেশকে ফ্রান্সের তৈরি যুদ্ধ বিমান কেনার বিষয়ে নরেন্দ্র মােদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযােগকে আরও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করালাে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। দেশের সাধারণ মানুষও অভিযােগ করছে ‘চৌকিদার চোর’ বলে। তাই দেশের মানুষের পক্ষে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় এদিন খুশির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে উত্তর প্রদেশের আমেথিতে এক জনসভায় মন্তব্য করেন রাহুল। এখানে তিনি চতুর্থবারের জন্য লােকসভা নির্বাচনে তাঁর মনােনয়ন পেশ করেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এক সাক্ষাৎকারে জানান, দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাফায়েল লেনদেনে সরকারকে ক্লিন চিট দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার সর্বোচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট লেনদেনে দুর্নীতি হয়েছে মনে করে বলেই আবারও যাচাইয়েব রায় দিয়েছে। কংগ্রেস বারবারই দাবি করে আসছিল সংশ্লিষ্ট লেনদেনে নরেন্দ্র মােদি ও অনিল আম্বানিকে তদন্তের অন্তর্ভুক্ত করার। কংগ্রেস নরেন্দ্র মােদির বিরুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনার ত্রিশ হাজার কোটি টাকা অনিল আম্বানিকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যে দুর্নীতির অভিযােগ করে আসছিল, অবশেষে সর্বোচ্চ আদালত সে বিষয়ে গুরুত্ব আরােপ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রাহুল গান্ধি এবং অন্যান্য বিরােধী দলের নেতারা অভিযােগ করে আসছিলেন, অনিল আম্বানির নতুন গজিয়ে ওঠা অভিজ্ঞতাহীন সংস্থাকে ফ্রান্সের যুদ্ধ বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা ডাসাল্টের বরাত পাইয়ে দিতে নরেন্দ্র মােদি নিজে সুপারিশে স্বাক্ষর করেছেন।

উল্লেখ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ আদালত সরকারি নীতি নির্ধারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের অবতারণার কোনও কারণ নেই বলে তদন্তের আবেদনকে খারিজ করে দিয়েছিল।