যোশীমঠের পর সংশয়ের মেঘ নৈনিতাল, মুসৌরিতে 

Written by SNS January 27, 2023 6:25 pm
দেরাদুন ,২৭ জানুয়ারী — যোশীমঠের পর ফের ফাটল নৈনিতাল, মুসৌরিতে। তেহরি গাড়ওয়াল, মুসৌরির ল্যান্ডৌর বাজার, নৈনিতালের লোয়ার মল রোড এবং রুদ্রপ্রয়াগের অগস্ত্যমুনি ব্লকের ঢালীমঠ বস্তি এবং গুপ্তকাশী শহরের কোথাও মাটি বসে যাচ্ছে, কোথাও দোকান ও ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিচ্ছে।যোশীমঠের ভূমি বসে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই সংকটে উত্তরাখন্ড । নৈনিতাল এবং মুসৌরির মতো শহরে ফের ফাটল দেখা দেওয়ায় মাথায় হাত এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকদের ।
গাড়োয়াল হিমালয়ের জনপদ যোশীমঠ সংকটে। হঠাৎ করেই ধসে যেতে শুরু করেছে যোশীমঠের মাটি। ফলে ‘ধ্বংসের’ মুখে এই জনপদ ।  ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ওই শহরের প্রায় ৯০০ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে রাস্তাঘাট, জমি এবং স্থানীয় মন্দিরগুলিতেও। রাতারাতি ঘরছাড়া হয়েছেন বহু পরিবার।
এরই পাশাপাশি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের আরও কয়েকটি পাহাড়ঘেরা শহরে। যার মধ্যে রয়েছে কর্ণপ্রয়াগ, উত্তরকাশী, গুপ্তকাশী, হৃষীকেশ, নৈনিতাল এবং মুসৌরির মতো হিমালয়ের কোল ঘেঁষে থাকা শহরগুলি। সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্বেগ, খুব শীঘ্রই ধসের মুখে পড়ে যোশীমঠের মতো এই এলাকাগুলিতেও বহু বাড়ি এবং রাস্তায় ফাটল ধরে  সংকটের সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতির জন্য একইভাবে শহরের উন্নয়নকেই দায়ী করেছেন এলাকার মানুষ।
যোশীমঠে ৫২০ মেগাওয়াট তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণাধীন টানেলে জলাধার ফেটে যাওয়ার পরই  সঙ্গিন হয়ে পড়ে এই এলাকা , এমনটাই অভিযোগ তোলেন এলাকার মানুষ।  যদিও প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যোশীমঠ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে কর্ণপ্রয়াগেও বেশ কয়েকটি বাড়িতে বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি পরিবার পৌরসভার আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। এই শহরের একদম কাছেই জোরকদমে চলছে হৃষীকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন এবং বছরের যেকোনো সময়ে চারধাম যাওয়া সুনিশ্চিত করতে পরিকল্পিত রাস্তার কাজ। চারধাম যাত্রায় সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করতে সরকারের তরফে এই উন্নয়নের কাজে হাত লাগানো হলেও কর্ণপ্রয়াগে মানুষদের দাবি, এই উন্নয়নই কাল হয়েছে তাঁদের।

রেললাইন তৈরির প্রভাব পড়েছে হৃষীকেশেও, দাবি স্থানীয়দের। হৃষীকেশের আটলি গ্রামে অন্তত ৮৫টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, হৃষীকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পে আওতায় রেলের টানেল তৈরির জন্য এই অবস্থা হয়েছে আটলি গ্রামের। গ্রামবাসীরা জানান, এলাকার প্রায় সব ঘরবাড়ি ও কৃষি জমিতে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞমহলের দাবি, পর্যাপ্ত পরিকল্পনা ছাড়াই প্রকান্ড নির্মাণ প্রকল্প , জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।