• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অনলাইনে আয় করার প্রলোভনে পা নয়, সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক 

দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর – আংশিক সময়ের কাজে বিপুল আয় করার প্রলোভন দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত একশোরও বেশি ওয়েবসাইট ‘ব্লক’ করে দিল কেন্দ্র। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রক। একইসঙ্গে এই ধরণের বিজ্ঞাপনী প্রচারে পা বাড়িয়ে যাতে সর্বস্ব হারাতে না হয়, সেজন্য আমজনতাকে সাবধান করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক। ‘ঘরে বসে নিশ্চিন্তে আয় করুন’। রাস্তাঘাটে, বাড়ির দেওয়ালে, পত্রপত্রিকা এবং

দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর – আংশিক সময়ের কাজে বিপুল আয় করার প্রলোভন দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত একশোরও বেশি ওয়েবসাইট ‘ব্লক’ করে দিল কেন্দ্র। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রক। একইসঙ্গে এই ধরণের বিজ্ঞাপনী প্রচারে পা বাড়িয়ে যাতে সর্বস্ব হারাতে না হয়, সেজন্য আমজনতাকে সাবধান করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক।

‘ঘরে বসে নিশ্চিন্তে আয় করুন’। রাস্তাঘাটে, বাড়ির দেওয়ালে, পত্রপত্রিকা এবং পাঁচিলে সর্বত্রই এই ধরণের বিজ্ঞাপন সবারই চোখে পড়ে। ইন্টারনেটের দৌলতে এখন বিভিন্ন সমাজমাধ্যমেও এই ধরণের বিজ্ঞাপন সর্বক্ষণই চোখে পড়ে। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আর্থিক প্রতারণার সংখ্যা। ঘরে বসে উপার্জন করতে গিয়ে নিজের সঞ্চয়ের সবকিছু খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। সেই কারণেই এই ধরণের  বিজ্ঞাপনী প্রচারের ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক করা হল কেন্দ্রের তরফে।
বুধবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, নানা রকম আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত এমন প্রচুর ওয়েবসাইট শনাক্ত করা হয়েছে। নানা সমাজমাধ্যম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি অ্যাপের মাধ্যমে নানা প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত সমস্ত ওয়েবসাইটের খোঁজ শুরু করেছে তারা। ইতিমধ্যে এমন একশোর বেশি ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে কেন্দ্র এও বলছে, অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার বেশ কয়েকটি বড়সড় চক্র আছে। এরা এ দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি, এটিএমের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরিচালনায় আমাদের মন্ত্রক সাইবার প্রতারণা, সাইবার অপরাধ থেকে সাধারণ নাগরিকদের রক্ষা করতে সর্বদা সচেষ্ট।’’

এই ধরণের বিজ্ঞাপনগুলিতে সাড়া দেওয়ার আগে ভাল করে যাচাই করে নিতে বলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রে জানানো হয়েছে ,  গুগল, মেটা ইত্যাদিতে ওই সমস্ত বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যোগাযোগ করলে প্রথমে প্রতারকদের কোনও এক জন পুরো ব্যাপারটা দেখেন। প্রথমে তিনি ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে কথাবার্তা বলে আস্থা অর্জন করেন। তারপর বলে দেন, ঘরে বসে কী ভাবে সহজ সব কাজ করে মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কাউকে বলা হয়, নির্দিষ্ট কোনও ভিডিয়ো বা ছবিতে ‘লাইক’ দিতে হবে। কোনও অ্যাপের রেটিং লিখতে হবে। সে সম্পর্কে না জেনে প্রশংসাসূচক কয়েক লাইন লিখতে হয়। এতে ওই অ্যাপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আর ‘ঘরে বসে’ যিনি আয় করছেন, তিনি প্রথম দিকে মোটামুটি রোজগারও করেন। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় সমস্যা। এবার কোনও এক অছিলায় মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। কিংবা ব্যাঙ্কের তথ্য নিয়ে হঠাৎই ফাঁকা করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট। কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ, এমন সব কাজে প্রতারকরা বিশেষত  গৃহবধূ, বেকার যুবক এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের নিশানা করে। তাই এই ধরণের কোন কাজ করার আগে ভাল করে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বলা হচ্ছে, অনলাইনে অচেনা কাউকে টাকা পাঠাতে হলেও ভাল করে তাঁর সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement