যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চিন , সতর্কবার্তা নিকি হ্যালের 

Written by SNS September 23, 2023 5:58 pm

ওয়াশিংটন, ২৩ সেপ্টেম্বর – চিনের জন্য আমেরিকা-সহ গোটা বিশ্ব অস্তিত্বের সংকটে ভুগবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি। যুদ্ধে জয়লাভ করাই একমাত্র লক্ষ্য কমিউনিস্ট চিনের। শুক্রবার অর্থনীতি বিষয়ে এক বক্তৃতায় চিন নিয়ে ভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হ্যালে। তিনি বলেন,  ব্যবসার কৌশল থেকে গবেষণা, সব চুরি করে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে চিন আর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুদ্ধের। এভাবেই সতর্কবার্তা দিলেন নিকি হ্যালে। রিপাবলিকান দলের এই সদস্য এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলেই সূত্রের খবর। তিনি চিনের পদক্ষেপ থেকে আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেন, ‘চিন বরাবর আমেরিকাকে হারাতে চেয়েছে। আর এখন তারা সেনাবাহিনীর নিরিখে প্রায় আমেরিকার কাছাকাছি চলে এসেছে।’

শুক্রবার আমেরিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন নিকি হ্যালে। তিনি বলেন, ‘প্রায় অর্ধ শতক ধরে আমেরিকার বিরুদ্ধে ছক কষছে চিন।’ তাঁর দাবি, আমেরিকার উৎপাদন শিল্পের কৌশল রপ্ত করেছে চিন। প্রযুক্তি থেকে ওষুধ উৎপাদন, সবটাই রপ্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকার গোপন কৌশল রপ্ত করেই চিন খুব কম সময়ের মধ্যে পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির দেশ থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

নিকি হ্যালের মতে, চিনের একমাত্র উদ্দেশ্য হল, যে কোনওভাবে আমেরিকাকে হারানো। এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করেছে তারা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিন প্রায় আমেরিকার সমান হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন নিকি হ্যালে। তিনি বলেন, ‘চিনের কমিউনিস্ট পার্টি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে স্পাই বেলুন পাঠাচ্ছে আমেরিকার আকাশে। তারা জিততে বদ্ধপরিকর।’

এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করে রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালে বলেন, “আমাদের জাতীয় সুরক্ষার জন্য শক্তি ও গর্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে আমাদের প্রতিপক্ষ যখন চিন। প্রসঙ্গত, ৫১ বছরের নিকি দক্ষিণ ক্যারোলাইনার গভর্নরের দায়িত্ব সামলেছেন দুবার। ছিলেন রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন মার্কিন দূতও। এবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন নিকিও।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই আসিয়ানের মঞ্চ থেকে নাম না করে আমেরিকাকে ঠান্ডা লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন। গত জুন মাসে ওয়াশিংটনের আকাশে দেখা গিয়েছিল চিনের ‘গুপ্তচর’বেলুন। সেই বেলুনকে গুলি করে নামানো হয়। পরে জানা যায়, সেই চিনা বেলুন মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আমেরিকার উপরে নজরদারি চালাতে চেষ্টা করেছিল।

এছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে দুদেশের মধ্যে সংঘাত প্রবল । বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে লালফৌজ। প্রায় গোটা জলরাশিই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট চিন। চিনের এই আগ্রাসানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে  আমেরিকা।