স্বাস্থ্য বিমার টাকা পেতে চূড়ান্ত সমস্যায় ৪৩%

Written by SNS May 7, 2024 4:46 pm

দিল্লি, ৭ মে— গত তিন বছরে ভারতে স্বাস্থ্য বিমার টাকা পেতে চূড়ান্ত সমস্যায় পডে়ছেন ৪৩% মানুষ৷ আবার অন্যদিকে, যত দিন যাচ্ছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম৷ বিশেষত প্রবীণদের৷ কিন্ত্ত ওই খাতে বছর বছর বিপুল টাকা জমা করেও, প্রয়োজনের সময়ে বিমার অর্থ হাতে না পাওয়ার অভিযোগ বহু দিনের৷ এ বার সেই হেনস্থার ছবি উঠে এল লোকাল সার্কলের সমীক্ষাতেও৷ যা জানাল, গত তিন বছরে ভারতে স্বাস্থ্য বিমার টাকা পেতে চূড়ান্ত সমস্যায় পডে়ছেন ৪৩% মানুষ৷ সিংহভাগ ক্ষেত্রে দাবি বাতিলের পিছনে বিমা সংস্থাগুলির যুক্তি, যে রোগের চিকিৎসার জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে, সেটি অনেক দিন আগে থেকেই গ্রাহকের রয়েছে৷ যাকে বলা প্রি-এগ্জিস্টিং ডিজিজ৷ এই অবস্থায় গ্রাহকদের দুর্ভোগ কমাতে সামগ্রিক ভাবেই স্বাস্থ্য বিমা ক্ষেত্রের জন্য আরও কঠোর নিয়ম চালুর পক্ষেও সওয়াল করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯৩% মানুষ৷
সমীক্ষায় অভিযোগের পরে ওই সব সংস্থা অবশ্য এর দায় চাপিয়েছে হাসপাতাল এবং গ্রাহকদের উপরেই৷ তাদের বক্তব্য, বহু ক্ষেত্রে পলিসিহোল্ডারের ভুলের কারণেই টাকা পেতে সমস্যা হয়৷ দাবি নাকচ না হলেও, অনেক সময়ে চিকিৎসার টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে বিমা সংস্থাগুলি গডি়মসি করায় গ্রাহককে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলেও জানিয়েছে সমীক্ষা৷ দেশের ৩০২টি জেলার ৩৯,০০০ মানুষকে নিয়ে যা করা হয়েছিল৷ সেখানে বলা হয়েছে, বহু ক্ষেত্রে চিকিৎসা হয়ে যাওয়ার পরে হাসপাতাল রোগীকে ছেডে় দিতে চাইলেও, সংস্থা টাকা মেটাতে দেরি করায় তাঁকে ১০-১২ ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকতে হয়৷ কোনও সময়ে আবার দেখা যায় হাসপাতাল মোট যে বিল দেয়, তার পুরোটা মেটাতে চায় না সংস্থাগুলি৷
লোকাল সার্কলের সমীক্ষায় ওঠা অভিযোগ মানলেও, স্বাস্থ্য বিমা শিল্প উল্টে দাবির টাকা না পাওয়া বা আংশিক পাওয়ার দায় চাপিয়েছে গ্রাহক এবং হাসপাতালগুলির উপরেই৷ আর চিকিৎসার টাকা মেটানো নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিতে বিমা সংস্থাগুলির কেন দেরি হয়, সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রবীরবাবুর দাবি, বহু ক্ষেত্রেই হাসপাতালগুলি চিকিৎসার নথি ঠিকমতো বিমা সংস্থার কাছে পাঠায় না৷ তখন সংস্থা এবং হাসপাতালের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কথাবার্তা চলে৷ নথি চেয়ে পাঠানো হয়৷ এই প্রক্রিয়ার কারণেই রোগীর ছাড়া পেতে দেরি৷ তাঁর আরও দাবি, ওই সব ক্ষেত্রে অধিংকাংশ সময় পুরো টাকা না দিলেও, সিংহভাগই মিটিয়ে দেয় বিমা সংস্থা৷ পরে কাগজপত্র ঠিকঠাক জমা দিলে বাকি টাকা মেটানো হয়৷লোকাল সার্কলের সমীক্ষার সঙ্গে অনেকটা একমত বিমা এজেন্টরাও৷ তবে তাঁদের অন্যতম সর্বভারতীয় নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, ‘মানুষ অনেক সময়েই বুঝতে পারেন না পলিসি কেনার সময় কী কী তথ্য জানানো বাধ্যতামূলক৷ গ্রাহককে তা বুঝিয়ে বলার দায়িত্ব এজেন্টদেরই৷ বহু ক্ষেত্রে তাঁরা সেই দাযিত্ব ঠিকমতো পালন না করায় সমস্যা তৈরি হয়৷’