ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ থেকে সতর্ক করে প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের 

Written by SNS March 11, 2023 4:22 pm
দিল্লি, ১১ মার্চ– ঋতু বদলের মরশুমে একাধিক রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়া নতুন ব্যাপার নয়। কিন্তু করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে এই রোগ দুর্ভোগ আতঙ্কের পর্যায় পৌঁছেছে। বিশেষত ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। শিশুদের মধ্যে এসব রোগের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যু ঘটেছে। শনিবারও কলকাতার বি সি রায় হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছে এক শিশু। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা দেখিয়ে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ থেকে সাবধানে থাকতে প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিবদের চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের চিঠিতে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা যথাযথ পরিকাঠামো রয়েছে কি না, সমস্ত রাজ্যগুলিকে সেদিকে নজর দেওয়ার কথা উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, এইচ১ এন  ১, এইচ৩এন২ এবং অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু এবং বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। জ্ব-সর্দি-কাশি ছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। চিঠিতে ১১ দফায় পরিস্থিতির কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের কাছে কেদ্রীয়ে স্বাস্থা সচিবের আবেদন, এসব রোগের যথাযথ চিকিৎসার দিকে যেন নজর রাখা হয়। 

বছর তিনেক পর কোভিডের প্রভাব সবে কাটিয়ে উঠেছে দেশ। করোনা কালে এই সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা হলেই পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছিল। বিশেষত কো-মর্বিডিটিযুক্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয় ছিল। সে কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এই মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, একই ধরনের উপসর্গ ফিরে এলে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এবং সেইমতো চিকিৎসাও জরুরি। 

এদিকে, রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস ও নিউমোনিয়ার জোড়া কোপে শিশুমৃত্যু অব্যাহত। শনিবারও উত্তর ২৪ পরগনার হেলেঞ্চার বাসিন্দা, ৭ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বি সি রায় হাসপাতালে। ৯ দিন ধরে সে একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু শেষমেশ প্রাণরক্ষা হল না। এনিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর যথেষ্ট সাবধানী। পরিস্থিতি নজরে রাখছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর পরামর্শ, মাস্ক ব্যবহার করুন সকলে।