• facebook
  • twitter
Saturday, 3 May, 2025

পদ্ম ফুটুক না ফুটুক সব রাজ্যকেই প্রাপ্ত অর্থ দিতে হবে কেন্দ্রকে

এবার বিজেপি কেন্দ্রে একক দল হিসেবে সরকার গড়তে পারেনি। তাদের নির্ভর করতে হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের সমর্থনের উপর। আর তার ইনাম হিসেবে এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঢালাও অর্থ বরাদ্দ করেছেন। বিহারের সরকারে বিজেপি রয়েছে। তেমনই অন্ধ্রের উন্নতির জন্য কল্পতরু হয়ে অর্থমন্ত্রী বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকারকে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

নারায়ণ দাস

কোনও সরকার যদি ডাবল ইঞ্জিনের হয়, তাহলে লাভ কতটা? এই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আলোচনার বিষয় হয়ে চলছে রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের মনে। ডাবল ইঞ্জিন মানে কী? অর্থাৎ কেন্দ্রে যে দলের সরকার ক্ষমতাসীন, সেই দলেরই সরকার যদি কোনও রাজ্যে হয়—তাহলেই সে সরকারকে বলা হয় ‘ডাবল ইঞ্জিনের সরকার’। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হলে সংশ্লিষ্ট সেই রাজ্য কেন্দ্রের সবরকম সাহায্য পাবে উন্নয়ন খাতে, সেই রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্র যথাসময় মিটিয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার সেই ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে খবরদারি চালাবে। আবার ডাবল ইঞ্জিনের সরকার যে কোনও রাজ্যেই ক্ষমতাসীন হোক না কেন, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী, গণতন্ত্রসম্মত নয়। কারণ যে রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার নেই, সেই সরকার কি তাহলে কেন্দ্রের সবরকম সাহায্য পাবে না? সে রাজ্যের কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্র যথাসময় দেবে না উন্নয়নের স্বার্থে? এই যদি ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের মূল বিষয় হয়, তাহলে তো সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশের পক্ষে তা একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কেন্দ্রের বৈষম্য বড় হয়ে দেখা দেবে, তাকে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। যেমন উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরায় এখন ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে। সুতরাং ত্রিপুরার বিজেপি সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে সবরকম সাহায্য পাওয়ার কথা। এই রাজ্যের কেন্দ্রের কাছ প্রাপ্য টাকাও ঠিক ঠিক সময় দিয়ে দিতে হবে। আবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার— এখানকার সরকার ডাবল ইঞ্জিনের সরকার না হলেও, তার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্রকে যথাসময়ে দিয়ে দিতে হবে এই রাজ্যের স্বার্থে। কোনও ব্যাপারেই এই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রর বঞ্চনা চলবে না। এখন সারা দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সংখ্যা বেশি। স্বভাবতই বলা যায় এই রাজ্যগুলি কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য এবং অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা বেশি করে পাচ্ছে। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নানাভাবে বঞ্চিত। তারা তাদের প্রাপ্য অর্থ যথাসময়ে পাচ্ছে না, কেন্দ্রের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও। এই যদি ডাবল ইঞ্জিন সরকারের নীতি হয়, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তারা তাদের প্রাপ্য অর্থ যথাসময়ে না পেয়ে আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। বিজেপির আশা, সব রাজ্যেই পদ্ম ফুটুক। তা তো সম্ভব নয়।

কিন্তু প্রশ্ন অন্য ক্ষেত্রেও। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হলেই, সেই রাজ্য কেন্দ্রের সবরকম সাহায্য, প্রাপ্য অর্থ, যথাসময়ে পাচ্ছে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমনটা নয়। পঁচিশ বছর বাম শাসনের পতনের পর ত্রিপুরায় যখন জেপি সরকার ক্ষমতায় এল, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বলা ভালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দীর্ঘ বাম শাসনের সব অপকীর্তি মুছে পেলে ত্রিপুরাকে ‘সোনা দিয়ে মুড়ে দেবেন’। বাম শাসনে ত্রিপুরার যেসব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়নি, সেখানে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দেবেন। ত্রিপুরাবাসীর প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে নির্বাচনে বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে, বিজেপিকে ক্ষমতায় আনল। আশা করা গিয়েছিল ওই উত্তর ভারতের ছোট্ট রাজ্য কেন্দ্রের সাহায্য পেয়ে আরও উন্নত হবে। কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য পেয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার যেসব ক্ষেত্রে অর্থের অভাবে উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে উন্নয়ন শুরু হচ্ছে। ত্রিপুরাবাসী তাই বড় আশা করে বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিজেপিকে আনল।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হলেও, ত্রিপুরায় এই কয়েক বছরে আহামরি কোনও উন্নয়ন হয়েছে? ত্রিপুরার আদিবাসীদের জীবন-জীবিকার উন্নতি হয়েছে? তাঁরা তো এখনও অবহেলিত। রাজ্যের বিজেপি সরকারের অভিযোগ কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি মতো আর্থিক সাহায্য না পাওয়াতে রাজ্যে উন্নয়নের টাকা এখনও স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। কিন্তু তা কেন হবে? ত্রিপুরার সরকার তো ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা হল ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হলেও, ত্রিপুরা কেন্দ্রের ঢালাও সাহায্য থেকে বঞ্চিত। তাই উন্নয়নও আটকে রয়েছে। নির্বাচনের প্রচারে এসে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব— বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরাবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরাকে ‘সোনা দিয়ে মুড়ে’ দেবে। এখানকার বিশিষ্টজনেরা বলেন, সোনা কেন, ত্রিপুরাকে রুপো দিয়েও মুড়ে ফেলেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ত্রিপুরা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখনও নানা বিষয়ে পিছিয়ে আছে। এ রাজ্যেও তার প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্রের কাছ থেকে যথাসময়ে পায়নি। আদিবাসীরা এখনও অবহেলিত এবং নিগৃহীত। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে এখনও উন্নয়নের চাকা ঘোরেনি। সুতরাং ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হয়ে কী লাভ? আর প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই বা কোথায় গেল? এই সব প্রশ্ন ত্রিপুরাবাসীদের মনে দোল খাচ্ছে। সুতরাং ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হলেও ত্রিপুরার উন্নয়ন যা এ পর্যন্ত হয়েছে, তাতে এই রাজ্যের মানুষ খুশি নন। ত্রিপুরার পরবর্তী নির্বাচনে ফল কী দাঁড়ায় তা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে রাজ্যবাসী। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার মণিপুর হলেও, সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব আইনের শাসন কায়েম করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী একবারের জন্যও মণিপুরে যাননি। অবশেষে সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ ডাবল ইঞ্জিনের সরকার নয়। এখানে গত দিন দশক ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যেমন দক্ষ হাতে প্রশাসনের হাল ধরে রাখছেন, তেমনই দলনেত্রী হিসেবে তাঁর দলকেও বড় একটি শক্তিশালী দল হিসেবে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তার অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজগুলি রাজ্যের মানুষকে যেমন উপকৃত করেছে, তেমনই তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনও পেয়েছেন। সুতরাং এই তৃণমূল কংগ্রেস এখন একটি ক্ষমতাশালী দল এবং এই দলকে হটিয়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় আসা বিলক্ষণ কঠিন।

কিন্তু রাজ্যের বড় বিরোধী দল হল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)— এই দলের আদর্শ ও নীতি এই রাজ্যের মানুষ সেভাবে গ্রহণ না করার ফলে ব্যাপক চেষ্টা করেও গত বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেও তৃণমূলের কাছে পরাজয় বরণ করে মাত্র ৭৭টি বিধানসভার আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃবৃন্দ, যাঁদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নির্বাচনের কাজে দলের স্ট্র্যাটেজি নির্ণয়কারী অমিত শাহ রাজ্যে প্রচারে এসে মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হলে রাজ্যের প্রভূত উন্নয়ন হবে, সেই সঙ্গে নতুন নতুন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পও গ্রহণ করা হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের ভাষাভাষি মানুষ বাস করেন। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করেন। কিন্তু বিজেপির হিন্দুত্ববাদ নীতি এবং দলের অন্যান্য আচরণ মানুষ গ্রহণ করেনি। ফলে বিজেপি নেতারা ডাবল ইঞ্জিনের গুণগান গাইলেও এ রাজ্যের মানুষকে তা আকৃষ্ট করেনি। তার ফলস্বরূপ দেখা গেল গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ডাবল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় আসবে বলে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিজেপি ঘোষণা করলেও, দলের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। সুতরাং সেই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিলেও, বিজেপি নেতারা বিশ্বাস করেন একদিন না একদিন ডাবল ইঞ্জিনের সরকার এ রাজ্যে হবেই। কিন্তু বিজেপির স্বপ্ন দেখার বিরাম নেই, আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নেতারা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন এই নির্বাচনে বিজেপি জিতবে এবং ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঠিত হবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সেই যে স্বপ্ন দেখা শুরু, আর কবে যে স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হবে, তা কেউ জানে না। তাই পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিজেপি নেতাদের চরম মাথাব্যথা— কী করে, কী কৌশলে, কী পন্থায় তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়।

আর এই ডাবল ইঞ্জিন সরকার না হওয়ার কারণে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নানা অছিলায় তৃণমূল সরকারকে বিব্রত করছে, প্রাপ্য অর্থ সময়মতো না দিয়ে রাজ্যকে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে ফেলছে। দীর্ঘস্থায়ী বামফ্রন্ট সরকারের বড় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তৃণমূল ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে, কোনও আর্থিক সাহায্যও কেন্দ্র এই রাজ্যকে দেয়নি। ডাবল ইঞ্জিন সরকার না হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সংঘাত শুরু। সেই সংঘাত এখনও চলছে এবং তা ক্রমবর্ধমান। ১০০ দিনের প্রকল্পের বিরাট অঙ্কের টাকা, আবাস যোজনার টাকা— তাছাড়া কর বাবদ বড় অঙ্কের টাকা তোলে এই রাজ্য থেকে, তার একটি প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। শুধু এখানেই শেষ নয়, রাজ্যকে বিপাকে ফেলা এবং উন্নয়েন থেমে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় যেসব প্রকল্প রাজ্য নিয়েছে তার বরাদ্দ কাটছাঁট করা— ইত্যাদি নানা উপায়ে রাজ্যকে বিপাকে ফেলছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন, যেহেতু এ রাজ্যে কিছুতেই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হচ্ছে না, তাই রাজ্যকে শিক্ষা দিতে এইভাবে তাকে তার প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত রেকেছে। এই অভিযোগ যদি সত্যিই হয়, তাহলে তা মারাত্মক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের সব সুবিধা পাবে, আর অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য তা পাবে না— এটা কখনও গণতন্ত্র সম্মত হতে পারে না। বিজেপি চায় সব রাজ্যেই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হোক।

এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে এবং রাজ্যের প্রাপ্য টাকা বিভিন্ন খাতে অবিলম্বে দিয়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেছেন। তার কোনও ফল না পাওয়াতে তিনি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা ও অন্যান্য দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তাঁর হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তিনি তা দেখেননি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেননি। এইসব চেষ্টা যখন বিফলে গেল এবং কেন্দ্রের ঘুম ভাঙানো গেল না, তখন মুখ্যমন্ত্রী অপারগ হয়ে আন্দোলনের পথ নিলেন। তিনি কলকাতায় গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসলেন। তাঁর দলের সাংসদরাও এই বৈষম্যের প্রতিবাদে সংসদে সরব হতে বললেন। এতসব সত্ত্বেও, এখনও কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত রেখেছে। আর কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হবে— এই আশায় বুক বেঁধে আছেন।

এবার বিজেপি কেন্দ্রে একক দল হিসেবে সরকার গড়তে পারেনি। তাদের নির্ভর করতে হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের সমর্থনের উপর। আর তার ইনাম হিসেবে এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঢালাও অর্থ বরাদ্দ করেছেন। বিহারের সরকারে বিজেপি রয়েছে। তেমনই অন্ধ্রের উন্নতির জন্য কল্পতরু হয়ে অর্থমন্ত্রী বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকারকে। কারণ, নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর দল যদি কেন্দ্রে বিজেপি তথা এনডিএ সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয়, তাহলে এবারের কেন্দ্রের এই সরকারের পতন ঘটতে পারে। যদি কোনওদিন তা ঘটে, তাহলে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ কেন্দ্রে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারে। জোটের নেতারা আগেই বলে রেখেছে এই এনডিএ সরকার পাঁচ বছর স্থায়ী হবে না।