সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়েস কমানোর মানেই হয় না, জানাল কেন্দ্র 

Written by SNS December 22, 2022 6:14 pm

দিল্লি, ২২ ডিসেম্বর– প্রধান বিচারপতির পরামর্শ কার্যত উড়িয়ে দিয়েই কেন্দ্র জানাল সম্মতিক্রমে যৌনতার জন্য আদালতের চোখে প্রাপ্তবয়স্কের সীমা কমানোর মানেই হয় না। 

উল্লেখ্য,  নিজেদের সম্মতিতে যদি দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যৌনতার সম্পর্কে জড়ায়, তাহলে আইনের চোখে সেই সম্মতি মান্যতা পায় না। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, প্রাপ্তবয়স্ক না হলেও দুই ব্যক্তি যদি নিজেদের সম্মতিতে যৌন সম্পর্কে জড়ায়, সেই ক্ষেত্রে বয়সের বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ পকসো আইনের আওতায় এহেন ঘটনার বিচার করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। 

রাজ্যসভায় সিপিআই নেতা বিনয় বিশ্বমও বলেছিলেন, সম্মতিক্রমে যৌনতার সম্পর্কে ১৬ বছর বয়সিদেরও প্রাপ্তবয়স্কের আওতায় আনা হোক। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সাফ জানিয়ে দেন, বয়স কমানোর প্রশ্নই ওঠে না। ২০১২ সালে পকসো আইন অনুযায়ী, যৌন নির্যাতনের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করাই সরকারের লক্ষ্য। সেই আইনেই সাফ বলা হয়েছে, ১৮ বছরের নীচে সকলেই নাবালক। তাই সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়স কমানোর প্রসঙ্গ নেই।

কিছুদিন আগেই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, “১৮ বছরের কম বয়সিদের যৌন সম্পর্ক হলেই তাকে অপরাধ বলে ধরে নেওয়া হয়। কারণ, নাবালকদের মধ্যে যৌনতায় সম্মতি থাকলেও ভারতীয় আইনে তা গ্রাহ্য করা হয় না।” একটি অনুষ্ঠানে এই মত প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।

নাবালকদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিয়ে নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রীর মত, ১৮ বছরের কম বয়সি সকলেই নাবালক। তাই অপরাধের গুরুত্ব বুঝে তাদের সাজা দেওয়া হবে। কিন্তু বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে যদি প্রশ্ন ওঠে, ওই ব্যক্তি নাবালক কিনা, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট আদালত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মেঘালয় হাই কোর্ট জানিয়েছিল, নাবালকদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে যৌনতা থাকলে তাকে যৌন হেনস্তার পর্যায়ে ফেলা যায় না। কিন্তু সেই কথা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার।