জব্বলপুর, ১৫ মে – বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন এক বিজেপি নেতার ছেলে। তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল তাঁর এক বন্ধুরও। রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে দব্বা ঘাটে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে কয়েক জন যুবক নর্মদা নদীর একটি ঘাটে স্নান করছিলেন। তখন দুই যুবক তলিয়ে যান। তাঁদের নাম অতুল প্যাটেল এবং অনুরাগ লোধি। অতুল জব্বলপুর জেলা বিজেপির সভাপতি শিব প্যাটেলের একমাত্র সন্তান। ঘটনাটি রবিবার ঘটলেও তাদের দেহ উদ্ধার হয় সোমবার। দুই যুবককে ডুবতে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু তাঁদের কাউকেই বাঁচানো যায়নি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের পর্যটন দফতরের চেয়ারম্যান বিনোদ গোতিয়া বলেন, ‘‘ওই যুবকদের মধ্যে অনুরাগ সাঁতার জানতেন না। তাই নদীতে নেমে একটু দূরে যেতেই তিনি স্রোতে তলিয়ে যান। বন্ধু ডুবে যাচ্ছে দেখে তাঁকে বাঁচাতে যান অতুল। কিন্তু দু’জনেই গভীর জলে তলিয়ে যেতে থাকেন।’’
Advertisement
অনুরাগ ও অতুল দুজনেই জব্বলপুর জেলার বাসিন্দা। জব্বলপুর গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি শিব প্যাটেলের ছেলে অতুল। রবিবার নর্মদা নদীর দাদ্দা ঘাটে স্নান করতে নেমেই তলিয়ে যান অতুল ও অনুরাগ। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়।
Advertisement
প্রসঙ্গত, নর্মদা নদীর বিভিন্ন সৈকতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত এপ্রিলে দুই সৈকতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল মুম্বইয়ের মহিম দরগার পিছনে আরব সাগরে ডুবে মৃত্যু হয় ১২ বছরের এক কিশোরের। এছাড়াও বিশাখাপত্তনমে রামকৃষ্ণ সৈকতের কাছে নদীতে নেমে তলিয়ে যান পলিটেকনিকের এক ছাত্র। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১০ বছরে আরব সাগরের বিভিন্ন সৈকত ও বিশাখাপত্তনমের মধ্যে ২০০-র বেশি জনের ডুবে মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে শুধু রামকৃষ্ণ সৈকতে মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ।
Advertisement



