কাবুল, ২৮ জানুয়ারি — আগেই তালিবানি শাসনে কাহিল আফগানবাসীরা। তার সঙ্গে তাল দিয়ে চলেছে আর্থিক দুরবস্থা। এর মধ্যে শীতের মারণ কামড়ে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৬২ জনের। ভয়ংকর শৈত্যপ্রবাহ আগামী এক সপ্তাহ কিংবা তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে বলে আশঙ্কা কাবুলের আবহাওয়া দপ্তরের। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে, মনে করছে স্থানীয় প্রাশসন। পরিস্থিতি ক্রমশ করুণ হয়ে উঠছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, প্রবল শীতের সঙ্গে লড়ার মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই গরিব আফগানদের কাছে।
গত ১৫ বছরের মধ্যে শীতলতম জানুয়ারির সাক্ষী কাবুল-সহ গোটা দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে -৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার প্রভাবেই চলতি মাসে আফগানিস্তানে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে মোট ৮৪ জনের। বিপর্যয় মোকবিলা মন্ত্রকের মুখপাত্র সইফুল্লা রহিমি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “গত ১০ জানুয়ারি থেকে আজ অবধি প্রবল শীতে ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।”
তালিবান শাসনে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছিল আফগানিস্তান। অনাহারে মৃত্যু হচ্ছিল বহু মানুষের। তার মধ্যে এবার শীতের কামড়ে প্রাণ খোয়াচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। ভয়ংকর শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। এমন পরিস্থিতিতে মহিলা সেবাকর্মীদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি দুঃস্থদের ঠিক মতো সাহায্য করতে পারছে না বলেও অভিযোগ। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করেছে বলেও খবর। জানা গিয়েছে, কাবুল শহরে দিনের বেলা শিশুরা প্ল্যাস্টিক কুড়িয়ে বেড়াচ্ছে। রাতে ওই প্লাস্টিক পুড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে পরিবারগুলি। বাড়ির নিচের অস্থায়ী বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়া এক আফগান পিতা জানাচ্ছেন, পাঁচ সন্তান ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে। গোটা রাত কাঁদছে। কিন্তু কয়লা যোগাড় করার ক্ষমতা নেই আমার।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



