• facebook
  • twitter
Wednesday, 21 May, 2025

আবার ওষুধের দাম বাড়ল দ্বিগুণ সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা

অ্যাজমা, গ্লুকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ সহ আটটি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি নামক ওই সংস্থাটি। দাম বাড়ানোর ‘যুক্তি’ হিসেবে যে প্রথাগত ব্যাখ্যাটি তাঁরা দিয়েছেন, তা একেবারেই গতানুগতিক। যেমন ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির ফলেই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া উপায় ছিল না। ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে একথা ঠিকই; কিন্তু তা বলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম দ্বিগুণ করতে হবে? সাধারণ ক্রেতাদের কথা ভাবতে হবে না?

প্রতীকী চিত্র

বরুণ দাস

একে তো নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম ক্রমশঃ ঊর্ধ্বমুখী; আলু-পিঁয়াজ যা সাধারণ মানুষের প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় আহার্যবস্তু, তার দাম সেই যে চল্লিশ আর ষাটে দাঁড়িয়ে আছে, তার কোনও কমার লক্ষণ নেই। এই দুটি নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে এক জায়গায় থেমে আছে। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নে বৈঠক,টাস্কফোর্স গঠন, বাজারে তাঁদের উপস্থিতি ও পর্যবেক্ষণ— এসব সত্ত্বেও কোনও সুরাহা নেই। বাজারের খুচরো বিক্রেতাদের মুখে এককথা— আমরা বেশি দাম দিয়ে কিনে কী করে কম দামে বিক্রি করব?

কথাটা মোটেও মিথ্যে নয়। তাঁরা ব্যবসা করতে এসেছেন। সমাজসেবা করতে নয়। কাছাকাছি বাজার বা হাট থেকে পাইকারি দামে শাক-সবজি কিনে তা সামান্য লাভে খুচরো বাজারে বিক্রি করছেন এসব ছোট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের পক্ষে চড়া দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা কীভাবে সম্ভব? টাস্কফোর্স-এর সদস্যরা এখানে কী করবেন? যাঁরা যদি কান না টেনে সরাসরি মাথা টানেন অর্থাৎ মাথাদের কাছে যান তো সুরাহা সম্ভব। কিন্তু তা আর যাচ্ছেন কোথায়? ফড়েদের দুষ্টচক্র মাঝপথে লাভর গুড়টুকু খেয়ে যায়, তা কি সরকারপক্ষ জানেন না?
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা অকাল-বর্ষণে খেতের ফসল নষ্ট হয় একথা ঠিক। আসলে প্রকৃতির রোষের কাছে আমরা সবাই অসহায়। আর এখন তো যখন-তখন নিম্নচাপের ফলে ভারী বর্ষণ মানুষের জীবন ও জীবিকায় আঘাত হেনেছে। মানুষের অসচেতনতা আর অত্যাচারের ফলে বদলে যাওয়া প্রকৃতি পৃথিবীর বুকে প্রতিশোধ নিচ্ছে। এখন আর কাল বলে কিছু নেই। সবটাই অকাল। কালবৈশাখির সময়ে কালবৈশাখি উধাও। অসময়ে তার উদয় হয়। বর্ষার দিনে বর্ষার দেখা নেই; অথচ শীতের মরশুমে বর্ষার আগমন ঘটে। এর মাশুল গুনতে হচ্ছে জীবকূলকে।
এতো গেল নিত্যব্যবহার্য জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির সাতকাহন। এছাড়াও আজকের জীবনে যা একান্ত অপরিহার্য হয়ে প্রচুর টাকার ওষুধের দরকার। প্রতিটি ঘরে খোঁজ নিলে দেখা যাবে—ডাক্তার আর ওষুধ ছাড়া কেউই নেই। ‘কানু বিনে গীত নেই’-এর মতো ডাক্তার আর ওষুধ ছাড়া আমাদের গতি নেই। গৌতমবুদ্ধ তাঁর শিষ্যকে একবার বলেছিলেন, এমন এক ঘর থেকে একমুষ্ঠি চাল বা সর্ষে আনতে, যে ঘরে মৃত্যু তাঁর থাবা বসায়নি।

বলাই বাহুল্য, গৌতমবুদ্ধর শিষ্য এই ধরাধামে তেমন কোনও (মৃত্যুহীন) ঘরই খুঁজে পাননি। আজকের প্রতিটি ঘরেও অসুখ তার আগ্রাসী থাবা বসিয়েছে। ফলে ডাক্তার আর ওষুধ এখন নিত্যকার সঙ্গী হয়ে উঠেছে প্রতিটি মানুষের জীবনে। সদ্য জন্মানো শিশু থেকে মৃত্যুর পথে পা বাড়ানো মানুষ—সবারই। বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যেই আজ কিছু কমন প্রোবলেম তথা ডিজিজ যেমন ব্লাডপেসার, সুগার, থাইরয়েড, কোলেস্টরল, ইউরিক অ্যাসিড সহ আরও অনেক কিছুর সন্ধান মিলবেই মিলবে এবং বলাবাহুল্য, এর কোনওটাই অগ্রাহ্য করার নয়।
যদি অগ্রাহ্য করেন তো যে কোনও সময় এগুলো আপনার চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে। আপনার আপাত-সুস্থ জীবনকেও বিপন্ন করে তুলতে পারে। এমনকি, মৃত্যু পর্যন্ত সুতরাং এগুলিকে আপনি অবজ্ঞা করবেন কীভাবে? কীভাবেই বা পাশ কাটিয়ে যাবেন? লাইফ-থ্রেট ডিজিজ বলে কথা। থাইরয়েড আর ইউরিক অ্যাসিডে হয়তো লাইফ-থ্রেট-এর আশঙ্কা থাকছে না, কিন্তু আপনাকে নানাভাবে নানা সমস্যার জন্ম দেবে। যে সমস্যা আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলবে। তখন ডাক্তারের কাছে ছুটতে বাধ্য হবেন। এবং নিয়মিত ওষুধও খেতে হবে।
একদিকে জেনারেল ফিজিশিয়ান তথা সাধারণ ডাক্তারের ফি যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবরকম ওষুধের দামও। কোনদিক সামলাবেন আপনি? বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ তথা নিম্নমধ্যবিত্তরা? সমাজের এই শ্রেণির মানুষরা হাড়িকাঠে মাথা দিয়েই আছেন। যেন বলি-প্রদত্ত হয়েই জন্মেছেন তাঁরা। এদের দেখার মতো কেউ নেই। এদের নিয়ে ভাবার মতো কেউ নেই। এদের সমস্যার সুরাহা করার জন্যে কেউ নেই। শুধু নির্বাচনের বাজারে এদের ভোট নিয়ে মাথাব্যথা আছে সব দলের রাজনীতিকদের।

স্বাধীনতার আটাত্তর বছর পরেও এরা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই পড়ে আছেন। সামান্য উত্তরণও ঘটেনি। যে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিয়ে আমরা এত বড়াই করি, সেই মহান স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এঁদের কাছে একেবারেই পানসে এবং অর্থহীনও। কেন পানসে এবং অর্থহীন? আসলে যে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এঁদের মুখে একমুঠো ডাল-ভাত, পরনে একটুকরো কাপড় আর মাথার ওপর একটু আচ্ছাদন দিতে পারেন, সেই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র যতই মহান হোক না কেন, তাঁর মূল্য কী এদের কাছে? কানাকড়িও না। শিক্ষা-স্বাস্থ্য তো অনেক পরের কথা।

এবার ফিরে আসা যাক নিবন্ধের মূল প্রসঙ্গে। ওষুধের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। সম্প্রতি দ্বিগুণ দাম বেড়েছে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের। অনেকেই জানেন, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি নামক সংস্থাটি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সম্প্রতি তাঁরা বেশকিছু ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। এই বৃদ্ধির পরিমাণ দ্বিগুণ। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সেদিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তাঁরা যুক্তিসঙ্গত চাপ দিলে ওই সংস্থাটি ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম বাড়াতে পারে না। কিন্তু সরকার বাহাদুর উদাসীন।
অ্যাজমা, গ্লুকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ সহ আটটি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি নামক ওই সংস্থাটি। দাম বাড়ানোর ‘যুক্তি’ হিসেবে যে প্রথাগত ব্যাখ্যাটি তাঁরা দিয়েছেন, তা একেবারেই গতানুগতিক। যেমন ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির ফলেই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া উপায় ছিল না। ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে একথা ঠিকই; কিন্তু তা বলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম দ্বিগুণ করতে হবে? সাধারণ ক্রেতাদের কথা ভাবতে হবে না?

এমনিতেই ওই প্রয়োজনীয় ওষুধগুলির দাম অনেক বেশি; তার ওপর আরও পঞ্চাশ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় তা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেল না? ওই বর্ধিত মূল্যে তাঁরা কিনবেন কীভাবে? ডাক্তার তো প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়েই নিজের ফি’টি গুণে নেন; কিন্তু ওই প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধের দোকানে গেলে যে বিরাট অঙ্কের বিল হবে, তা আর মাথায় রাখেন কি সংশ্লিষ্ট ডাক্তারবাবু? ওষুধ কোম্পানির নির্দেশে এখন আর কম দামের ওষুধ নয়, বেশি দামের ওষুধের নাম লিখতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন অধিকাংশ চিকিৎসকরা। কারণ সবাই জানেন, চিকিৎসকদের দামি গিফট কিংবা বিদেশভ্রমণের বিপুল খরচ দেবেন তো ওষুধ কোম্পানির মালিক। তাঁকে ওই পরিমাণ টাকা তো তুলতে হবে ক্রেতাদের পকেট থেকেই। নিজের পকেট থেকে তো আর দেবেন না কোম্পানির মালিক। অতএব ঘাড় ভাঙতে হবে ওই ক্রেতাদেরই। নিরপরাধ অসহায় মানুষই তো এদের শিকার। শিক্ষিত সচেতন চিকিৎসকরাই তাঁদের অর্থাৎ নিরপরাধ ক্রেতাদের এগিয়ে দেন শিকারি-বিক্রেতাদের মুখে। এজন্য (অনৈতিক কাজের) একটুও কি মানসিক যন্ত্রণা হয় না তাঁদের? তাঁরা কি আসলে সুস্থ মানুষ নন?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই তো কয়েক মাস আগেই ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসার এবং অ্যান্টিবায়োটিক সহ বেশকিছু ওষুধের দাম অনেকটাই বাড়ানো হয়েছিল। এতো কম সময়ের মধ্যে আবার ওষুধের দাম বৃদ্ধি কতটা যুক্তিযুক্ত? আমজনতাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া ছাড়া কী বলা যেতে পারে? সাধারণ মানুষের সামগ্রিক স্বার্থে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি-র এই অনাকাঙ্খিত ভূমিকাকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে এদিকে নজর দিতে হবে। যাতে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো দাম না বাড়ায় ওই সংস্থা।
দেশের গরিব মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনে ওষুধে ভর্তুকি দিতে হবে। ন্যায্যমূল্যের দোকানের আউটলেট ছড়িয়ে দিতে হবে শহর ও শহরতলির মধ্যেই নয়, দেশের প্রান্তিক এলাকায়ও। যাদে সবাই কমদামে ওষুধ কিনতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন ওষুধ কেন্দ্রের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের সর্বত্র। সব ধরনের ওষুধই রাখতে হবে সেখানে। জরুরি ভিত্তিতে এ কাজ সম্পন্ন করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে। দলীয় স্বার্থে যে দ্রুততায় সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করেন কিংবা সংসদে বিল উত্থাপন করেন এবং পাশ করান, ঠিক সেই দ্রুততায়।

এমনিতেই চিকিৎসা পরিষেবায় মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতা মহানগরের সবকটি সহকারি হাসপাতালেই ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই ছোটো তরী’র মতোই করুণ অবস্থা। এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। প্রতিদিনই গুরুতর অসুস্থ রোগীরাও সরকারি হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-পরিষেবা না পেয়ে। শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতাই মূলতঃ এজন্য দায়ী। রাজ্যের মহকুমা কিংবা জেলা হাসপাতাল থেকে ‘রেফার’ হয়ে আসা রোগীরা চিকিৎসা-পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন না। বিফলে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া।
উপরন্তু প্রয়োজনীয় ওষুধের আকাশ-ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ রোগীদের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে নিশ্চিত। সরকার পক্ষ উদাসীন থাকলে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি-র ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ রাখা বিশেষভাবে দরকার। এখানে দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত। এই স্বার্থকে সচেতনভাবে উপেক্ষা করা বোধহয় ঠিক হবে না। প্রয়োজনে দেশের প্রান্তিক মানুষকে ‘রিলিফ দেওয়া’ সরকারের অবশ্য কর্তব্য। একথা খেয়াল রাখতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্য—উভয় সরকারকেই।
বিশেষ করে যারা কথায় কথায় সাধারণ মানুষের স্বার্থর কথা বলেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে যাদের ‘রাতের ঘুম’ হয় না বলে দাবি করেন। ভোটের সময় তাঁদের জন্য কুম্ভিরাশ্রুও বিসর্জন করেন? তাঁরা এই জটিল পরিস্থিতি প্রয়োজনে রাজপথে নেমে প্রতিবাদে-আন্দোলনে নিজেদেরকে শামিল করছেন না কেন? রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কথায় কথায় যাদের রাজপথে নামার অভ্যেস আছে। তাঁরা এখন কেন চুপচাপ? সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী কাজের কথায় মাঝে মাঝেই যাঁরা চিল-চিৎকার করে রাজ্য তোলপাড় করেন, তাঁরা কেন পথে নামছেন না?

স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, কোনটার মধ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ আছে আর কোনটার মধ্যে নেই, তা ভেবে দেখেই পথে নামার সিদ্ধান্ত নেন কি? সাধারণ মানুষ নন, আসলে দলীয় স্বার্থই রাজনীতিকদের কাছে প্রধান। মুখে যতই গণতন্ত্র আর সাধারণ মানুষে ‘স্বার্থ’-এর কথা বলেন না কেন। সাধারণ মানুষ নয়, তাঁদের ভোটের দিকেই একমাত্র নেকনজর রাজনীতিকদের। তাই ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে তাদের কোনও নজর নেই। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে অর্থাৎ কাগুজে-আওয়াজ তুলেই নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সেরে ফেলার চেষ্টা করেন।