• facebook
  • twitter
Sunday, 3 August, 2025

কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মহারাষ্ট্র এবং হরিায়নায় ভোটের দিন বুথের ভিডিও ফটেজ প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সংবলিত জবাব চেয়েছে কংগ্রেস।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে ফের সরব হয়েছে কংগ্রেস। বারবার এই অভিযোগ কংগ্রেস করে গেলেও মানতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়ে উল্টে কমিশন চিঠি দেয় কংগ্রেসকে। চিঠি পেয়ে পিছু হটা দূরঅস্ত, উল্টে আরও বিশদে জানতে চেয়ে কমিশনকে পাল্টা চিঠি পাঠালো কংগ্রেস। কংগ্রেস নির্দিষ্টভাবে দু’টি দাবি তুলেছে। এক, মেশিন রিডেবল ডিজিটাল ভোটার রোল’ অর্থাৎ মেশিনে পড়া যায় এমন ডিজিটাল ভোটার তালিকা। দুই, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোটের দিন বুথের সংরক্ষিত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ। কমিশনকে সাত দিনের মধ্যে এর জবাব দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।

গত ১২ জুন রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়ে তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কংগ্রেস নিজের দাবিতে অনড়। কমিশনকে ফের একই অভিযোগে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের বিশেষ গোষ্ঠী ‘ঈগল’। এই গোষ্ঠীটি গঠনই করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষার জন্য। রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি দলগতভাবে কংগ্রেস মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটার তালিকায় কারচুপি এবং বহু বেনামী ভোটারের ভোট দেওয়ার অভিযোগ করে চলেছে। বিভিন্ন লেখালেখি, চিঠি, পিটিশন, কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া মঞ্চের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংবাদিক সম্মেলন করে, এমনকি সংসদের উভয় কক্ষেই বিরোধী দলনেতারা জোরের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের ভোটে বেনিয়মের অভিযোগ করলেও কর্ণপাত করেনি কমিশন। এবার সেই অভিযোগ ফের লিপিবদ্ধ করে কমিশনকে পাঠিয়েছে কংগ্রেস। তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে হরিয়ানা বিধানসভার ভোটও।

মহারাষ্ট্র নিয়ে কংগ্রেসের মূল অভিযোগ হল, মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোট ও বিধানসভা ভোটের মধ্যে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ ভোটার বেড়ে যাওয়া এবং ভোটের দিন বিকেল পাঁচটার পর ভোটদানের হার বৃদ্ধি। পাঁচ মাসে ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটার বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। সেখানে ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর লোকসভা ভোট পর্যন্ত পাঁচ বছরে যত ভোটার বেড়েছে তার থেকে পাঁচ মাসে ভোটার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, ২০২৪-এর মে মাস থেকে একই বছরের নভেম্বরে এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ কী? কংগ্রেসের দাবি, কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় এমন ডিজিটাল ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এরই সঙ্গে মহারাষ্ট্র এবং হরিায়নায় ভোটের দিন বুথের ভিডিও ফটেজ প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সংবলিত জবাব চেয়েছে কংগ্রেস। চিঠিতে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, নথি পেলেই কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহী দল। সেই বৈঠকে দলের যাবতীয় অভিযোগের বিশদ ব্যাখ্যাও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশের বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কমিশন বাংলাকে টার্গেট করেছে। এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম বাদ দেওয়া ওদের লক্ষ্য। কোনও জাতীয় বা রাজ্য স্তরে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নিয়েছে কমিশন। এর প্রতিবাদে এগিয়ে আসুক সকলে।